ধানগাছ ফুলানোর সময় বাদামী শোষক পোকার আক্রমণ শুরু হয়। কৃষিবিদদের পরামর্শ মেনে নানারকম পরিচর্যা করেও বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ ঠেকাতে পারছেন না কৃষকরা। তাই ধান পাকার আগেই বাদামী শোষক পোকার আক্রমণ মাঠ জুড়ে। সেই ছবি দেখা যাচ্ছে কালনা ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে। ফলে ধানের ফলন কমে কৃষকরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তা প্রায় নিশ্চিত। পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম কৃষি প্রধান কালনা মহকুমা। এখানে ধান, আলু, পাট প্রধান ফসল। কিন্তু আমন ধানে বাদামী শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দেওয়ায় ফসলের উৎপাদন অনেকটাই কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। কারণ জমিতে জায়গায় জায়গায় ধানগাছ একেবারেই শুকিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে কালনা মহকুমা কৃষি দপ্তরের একজন আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, "বাদামী শোষক হল একটি সুপরিচিত ধানের পোকা। এটি ধানগাছের পাতা কোষ থেকে রস শুষে নিয়ে গাছটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যেগুলি পরে হলুদ হয়ে শুকিয়ে যায়। উচ্চ আর্দ্রতায়, উচ্চ তাপমাত্রায়, ধানের জমিতে মাত্রাধিক নাইট্রোজেন প্রয়োগ ও বায়ুহীন পরিবেশে বাদামি শোষক পোকা অনুকূল পরিবেশ পায়। এই পোকা দমন করতে হলে বপনের পর্যায়ে বাদামী শোষক পোকা নজরে এলেই বীজ বপন করা জমিতে জল ভরে দিতে হবে। কিন্তু বাদামী শোষক পোকার সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে কীটনাশক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। এই পোকা দমনের মোক্ষম কীটনাশক হচ্ছে হ্যাসিফেট নামক কীটনাশক। কিন্তু এই ঔষধ ব্যবহারের আগে ধান গাছের ৮ সারি অন্তর অন্তর ধান গাছ হেলিয়ে দিয়ে গোড়ায় আলো ও হাওয়া বাতাস আসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।"
Comments :0