DA on Sujan Chakraborty

ডিএ’র টাকা সরকারের কাছে আছে, মেটাতে হবে নির্দেশ মতো: চক্রবর্তী

রাজ্য

রায় ঘোষণার ৬ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ কর্মচারী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়েই। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতার এই অংশ মেটানোর দিন তারিখ নিয়ে সংশয়ের অবকাশই রাখা হয়নি রায়ে। মহার্ঘভাতার অধিকার রয়েছে সরকারি কর্মচারীদের। তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যকে নিতে হবে। এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল। নিজের কর্মচারীদের প্রাপ্য আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে ছুটেছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকারই। এমনকি মহার্ঘ ভাতা যে অধিকার, এই বক্তব্যকেই বাতিল করার পক্ষে সওয়াল করেছিল। শেষ পর্যন্ত আদালতে যুক্তি দেওয়া হয় যে আর্থিক সঙ্গতির অভাব রয়েছে।
শনিবার এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন যে মেলা থেকে খেলা বা ক্লাবে অনুদানের মতো কাজে টাকা খরচ করার সময় অভাব হয় না সরকারের। আর কর্মচারীদের অধিকার মেটানোর সময় কোষাগারের অভাব হয়! 
এই মামলায় হাইকোর্টেরও আগে ট্রাইবুনালে বকেয়া ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোনও নির্দেশই মানেনি রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয় যে মহার্ঘ ভাতা মৌলিক অধিকার কিনা তা দেখার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তা বিবেচনা করা হবে। তবে কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষায় বসিয়ে রাখা যায় না। শুক্রবার অর্থাৎ ১৬ মে থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়ার ২৫ শতাংশ দিতে হবে কর্মচারীদের। 
উল্লেখ্য, পঞ্চম বেতন কমিশনের নিরিখে বকেয়ার হিসাব করা হয়েছে। ৪ আগস্ট ফের শুনানির দিন ঠিক করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 
চক্রবর্তী এই মামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, শূন্যপদ ফেলে রেখে এবং ডিএ বকেয়া রেখে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা লুট করেছে তৃণমূল সরকার। এই হিসেব দেওয়া হয়েছিল বিধানসভায়। আজকের সময়ে সেই অঙ্ক আরও বাড়বে।  
কর্মচারীরা বলেছেন যে সব রাজ্যই কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেয়। কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রাজ্যে রাজ্যে কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়। কেবল পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যের সরকার নিজের কর্মচারীদের ডিএ আটকাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মামলা করে।

(সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চিহ্নিত অংশে বকেয়া মেটানোর সময়সীমা নির্দিষ্ট করা।)

 

 

Comments :0

Login to leave a comment