চন্দন মুখোপাধ্যায়
ভারত একটি বৈচিত্রময় বিশাল দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের দিক থেকে ভারতের অর্থনীতি বর্তমানে ২০২৫ সালে বিশ্বব্যাপী $৪.১৯ ট্রিলিয়নের জিডিপি সহ জাপানকে ছাড়িয়ে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে স্থান পেয়েছে। একবারের জন্যেও কিন্তু বলে না মাথা পিছু আয়ে আজ ভারতবর্ষ ১২৪ স্থানে নেমে এসেছে। দ্বিতীয় রিপোর্ট বলছে গরিব,সাধারণ মানুষ কোন যন্ত্রণায় দিন কাটায়। আদানি-আম্বানিদের প্রবৃদ্ধি ঘটছে আর কাদের ঘামের দামে? বলে না এই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসংগঠিত শ্রমিকরা, যারা প্রতিটি শিল্পের মেরুদণ্ড, তাদের অবদানের কথা। এই উন্নত অর্থনীতির ৪৫শতাংশ অবদান রয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্র, যা ভারতের শ্রমশক্তির ৯২ শতাংশ আজ সমাজের সবচেয়ে এবং সবরকম সুবিধাবঞ্চিত অংশ। তার খবর কে রাখে? ভারতে প্রায় ৫০ কোটির বেশি মানুষ অসংগঠিত শ্রমিক হিসাবে কাজ করে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের জাতীয় উদ্যোগ কমিশন (NCEUS) অনুসারে, অসংগঠিত (অনানুষ্ঠানিক) শ্রমিকদের শ্রেণিবিভাগ করা হয়- ১) পেশা অনুসারে: ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, ভূমিহীন কৃষি শ্রমিক, ভাগচাষি, জেলে, পশুপালন, বিড়ি রোলিং, লেবেলিং এবং প্যাকিং, ভবন ও নির্মাণ শ্রমিক, চামড়া শ্রমিক, তাঁতি, কারিগর, লবণ শ্রমিক, ইটভাটা এবং পাথর খনির শ্রমিক, সেইসাথে করাত কল এবং তেল কলের শ্রমিক ইত্যাদি। ২) কর্মসংস্থানের প্রকৃতি: সংযুক্ত কৃষি শ্রমিক, বন্ডেড শ্রমিক, অভিবাসী শ্রমিক, পাশাপাশি চুক্তিবদ্ধ এবং অস্থায়ী শ্রমিক। ৩) পরিষেবা বিভাগ: ধাত্রী, গৃহকর্মী, জেলে ও মহিলা, নাপিত, সবজি ও ফল বিক্রেতা, সংবাদপত্র বিক্রেতা এবং বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী পেশাদারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৪) বিশেষ শ্রেণি: এখানে এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যাদের পেশায় অনন্য, যেমন টডি ট্যাপার, ময়লা পরিষ্কারকারী, মাথার উপর বোঝা বহনকারী, পশুচালিত যানবাহনের চালক, এবং লোডার এবং আনলোডার। এই চারটি শ্রেণিবিভাগ ছাড়াও, অসংগঠিত কর্মীবাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে মুচি, হামাল, হস্তশিল্প কারিগর, তাঁত তাঁতি, মহিলা দর্জি, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, স্ব-কর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি, রিকশাচালক, অটোচালক, রেশম চাষের শ্রমিক, ছুতার, ট্যানারি শ্রমিক, পাওয়ার তাঁত শ্রমিক এবং শহুরে দরিদ্র।
এই বিরাট অসংগঠিত শ্রমিকদের জীবন যন্ত্রণা উপশমে কি আছে আমাদের আইনে? ১৯৪৮ সালের ন্যূনতম মজুরি আইনের ধারা ২(জ) মজুরি শব্দটিকে সংজ্ঞায়িত করে, যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা মৌলিক ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত। পিপলস ইউনিয়ন ফর ডেমোক্রেটিক রাইটস বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া মামলায় সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, ‘দারিদ্র অধিকাংশকে ন্যূনতম মজুরি থেকে কমে কাজ করতে বাধ্য করে, ধারা ২৩ এই ধরনের জোরপূর্বক শ্রম নিষিদ্ধ করে এবং ধারা ২৪, ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় শিশু শ্রম নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। ধারা ৩৯(ক) অনুসারে, রাষ্ট্র বিশেষ করে তার নাগরিকদের, পুরুষ বা মহিলা, উভয়েরই জীবিকা নির্বাহের পর্যাপ্ত উপায়ের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তার নীতি নির্দেশ করবে।’ কিন্তু ভারতে এটি একটি সাধারণ পদ্ধতি যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে দীর্ঘ কাজের ঘণ্টা সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট কাজের ঘণ্টা নেই এবং এই কাজের ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও আইনও নেই। বেশিরভাগ শ্রমিক নিরক্ষর বা অল্পশিক্ষিত এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য নিয়োগকর্তার দেওয়া মজুরির উপর নির্ভরশীল এবং তাই অতিরিক্ত ঘণ্টা কাজ করার জন্য শোষিত হয়, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তাদের বেতন কম হওয়ায় তারা অপুষ্টিতে ভোগেন, চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে অক্ষম হন। তার সাথে অসংগঠিতক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকরা পরিত্যক্ত এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করেন, যেখানে পরিষ্কার পানীয় জল, শৌচাগার ইত্যাদির মতো মৌলিক শর্তাবলীর অভাব রয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৯(ঘ) অনুচ্ছেদে সমান কাজের জন্য সমান মজুরির বিধান রয়েছে, যার অর্থ হলো লিঙ্গ নির্বিশেষে শ্রমিকদের সমান মজুরি দেওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে আজও এর উলটো চিত্রই দেখতে পাই। শিশুদের ধাবা, চায়ের দোকান, গৃহস্থালির মতো ন্যূনতম কাজে দীর্ঘ কর্মঘণ্টা ধরে কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে, মহিলা কর্মীরাও দীর্ঘ কাজের ঘণ্টা এবং বিপজ্জনক কর্ম পরিবেশের এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। পাশাপাশি যৌন হয়রানি এবং আক্রমণের শিকার হন, যা কেবল তাদের শারীরিকভাবেই নয়, বরং মানসিকভাবেও চরম প্রভাবিত করে। প্রথম ইউপিএ আমলে অসংগঠিত ক্ষেত্রের জাতীয় উদ্যোগ কমিশন(NCEUS)-এর সুপারিশের ভিত্তিতে ভারত সরকার অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য ‘অসংগঠিত শ্রমিক সামাজিক সুরক্ষা আইন ২০০৮’ প্রণয়ন করে। এই আইনে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কিছু পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো অসংগঠিত শ্রমিকদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া। ভারত সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন নীতিমালাও প্রণয়ন করেছে। যেমন: দক্ষতা উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় নীতি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সম্পর্কিত জাতীয় নীতি, এইচআইভি এইডস সম্পর্কিত জাতীয় নীতি। ২০১৪ পর মোদী সরকার সাধারণ মানুষ,গরিবের জন্য ঝুড়িঝুড়ি প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসাংবিধানিক নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কর্পোরেটদের কাছ থেকে অনুদান এবং চাঁদা থেকে সংগৃহীত কোটি কোটি টাকার সাহায্যে প্রচারের তীব্র আলোয় ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ থেকে, ‘মোদীর গ্যারান্টি’ স্লোগান নিয়ে সরকারে এল। নাগরিকদের জীবন আরও অন্ধকারে তলিয়ে যেতে থাকলো।
গ্রামীণ জনগণের আয় বৃদ্ধির ‘মোদীর গ্যারান্টি’- কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত নয়া উদারনৈতিক অর্থনৈতিক নীতি কৃষি সঙ্কটকে আরও গভীর করছে, যার ফলে গ্রামীণ ভারতে ব্যাপক বেকারত্ব দেখা দিচ্ছে। শ্রমিকের বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কৃষিক্ষেত্রে কায়িক শ্রমের পরিমাণ ন্যূনতম পর্যায়ে নেমে এসেছে। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত প্রধান কৃষি ও অকৃষি পেশার মজুরি বার্ষিক ৩শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, বর্তমানে সেটা আরও বেড়ে চলেছে। সঙ্কট এতটাই তীব্র যে কৃষি ২০১৪ সাল থেকে মোট সরকারি হিসাবেই ৫০ হাজারের ওপর কৃষি শ্রমিক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। বিজেপি’র নীতিগুলি এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
শুধু কৃষি শ্রমিক নয় সব অংশের অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষের জীবন প্রতিদিন দুর্বিষহ করে তুলছে এই সরকার। কোনোরকম উদ্যোগ নেওয়াতো দূর অস্ত সব সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে ধনী বন্ধু মালিকদের সাহায্যে দেশের খাজাঞ্চিখানা খুলে দিতে চাইছে। আর তাই প্রাথমিক যেকাজ অসংগঠিত শ্রমিক নথিভুক্তির কাজ, যার হাত ধরে এই বৃহৎ অংশের মানুষ সব সুযোগ সুবিধা পেতে পারে। সরকারে আসার আগে যার জন্যে গলা ফাটিয়ে ছিলেন, সেটা বেমালুম ভুলে গেলেন। সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা ২০২০-র জুন মাসে, ‘প্রবলেম অ্যান্ড মিসিরিজ অব মাইগ্র্যান্ট লেবার’ বইতে, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে অসংগঠিত শ্রমিক-পরিযায়ী শ্রমিকদের নিবন্ধনের জন্য একটি পোর্টাল তৈরি করার নির্দেশ দেয়। এটি ৩১ জুলাই, ২০২১ -এর আগে কাজ শুরু করার এবং নিবন্ধনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ‘যত তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করতে হবে, কিন্তু ৩১.১২.২০২১ এর পরে নয়’ পদ্ধতিতে। ২৯ জুন, ২০২১, আদালত অসংগঠিত শ্রমিকদের ডাটাবেস তৈরির ক্ষেত্রে কঠোরভাবে বলেছে: ‘যখন অসংগঠিত শ্রমিকরা নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষা করছে এবং রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছে, তখন শ্রমও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের উদাসীনতা এবং উদাসীন মনোভাব ক্ষমার অযোগ্য।’ এতে আরও যোগ করা হয়েছে: “রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রবেশাধিকার প্রদানের জন্য, নিবন্ধন আবশ্যক।” বিচারপতি অশোক ভূষণ এবং এমআর শাহের বেঞ্চ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখের সময়সীমা নির্ধারণ করে নির্দেশ দিয়েছে, “সকল সংশ্লিষ্ট রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং লাইসেন্সধারী/ঠিকাদার এবং অন্যান্যরা অভিবাসী শ্রমিক এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সহযোগিতা করুন যাতে কেন্দ্রীয় সরকার/রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কর্তৃক ঘোষিত কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাগুলি অভিবাসী শ্রমিক এবং অসংগঠিত শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাতে পারে। ২৬ আগস্ট, ২০২১ তারিখে, কেন্দ্রীয় সরকার অসংগঠিত শ্রমিকদের নিবন্ধনের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকে ২০২৪-২৫অর্থ বছরের জন্য আনুমানিক ৭০৪কোটি টাকা ব্যয়ে ই-শ্রম, পোর্টাল-জাতীয় অসংগঠিত শ্রমিকদের ডাটাবেস (NDUW) চালু করে। ডাটাবেসটি আধারের সাথে সংযুক্ত। NDUW-তে নাম, পেশা, ঠিকানা, পেশার ধরন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতার ধরন, পরিবারের বিবরণ ইত্যাদির বিবরণ থাকবে। পিএলএফএস তথ্য থেকে প্রাপ্ত এবং সূত্রের মাধ্যমে গণনা করা অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীর সংখ্যা যে বলা হচ্ছে তা কেবল একটি অনুমান। এটি কোনও আদমশুমারির তথ্য নয় তাই বিভিন্ন রাজ্যে প্রকৃত অসংগঠিত কর্মীর মোট সংখ্যা আনুমানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীর সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। বিভিন্ন রাজ্যের পরিসংখ্যান বেরোচ্ছে, সেখানে উত্তর প্রদেশের পরিসংখ্যান থেকে এটি প্রমাণিত। উত্তর প্রদেশে নিবন্ধনের হার ১০০ শতাংশেরও বেশি, যেটা নিশ্চিত করে প্রকৃত অসংগঠিত কর্মী আনুমানিক অসংগঠিত কর্মীর চেয়ে বেশি শুধু নয় এটি কৃত্রিমভাবে নিবন্ধনের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে, কিন্তু আসলে কম মানুষ সুযোগ পাবে।
সংগঠিত এবং অসংগঠিত উভয় ধরনের শ্রমিকের জন্যই এই আইনগুলি তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু শ্রম আইনের প্রযোজ্যতার শর্তগুলি এমন যে অসংগঠিত ক্ষেত্রের উন্নতি ছাড়া পূরণ করা সম্ভব নয়। অসংগঠিত শ্রমিকরা সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা যেমন— পেনশন, গ্র্যাচুইটি, শ্রমিক ক্ষতিপূরণ, কর্মচারী রাষ্ট্রীয় বিমা থেকে বঞ্চিত, কর্মসংস্থান নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন যেমন- কারখানা আইন, ১৯৪৮, শিল্প বিরোধ আইন, ১৯৪৭, চুক্তি কর্মী আইন, ১৯৭০, মাতৃত্বকালীন সুবিধা আইন, ১৯৬১ এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং তারা মজুরি নিয়মিত তা প্রদানকারী আইন যেমন- মজুরি প্রদান আইন, ১৯৩৬ এবং ন্যূনতম মজুরি আইন, ১৯৪৮-এর সুবিধা থেকেও বঞ্চিত।
শ্রম আইনের মৌলিক নীতি হলো শ্রম বাজারে দুর্বল পক্ষকে সুরক্ষা দেওয়া এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যাতে তারা বেতন এবং কাজের পরিবেশ নিয়ে আলোচনার সময় ন্যায্য অবস্থানে থাকে। কিন্তু যখন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কথা আসে, তখন শ্রম আইনের এই মৌলিক নীতিটিও মানা হয় না। আর এভাবেই বিজেপি সরকার গরিব, খেটেখাওয়া মানুষকে প্রতিদিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে সব অংশের শ্রমিকের রক্ত ঘামের বিনিময়ে বন্ধু পুঁজিপতিদের মুনাফার পাহাড় গড়ে দিতে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আজ পথে নামার সময় শুধু নয়, সর্বাত্মক আন্দোলনের সময়। আজ দেশকে বাঁচাতে হলে সংগঠিত আর প্রধানত অসংগঠিত মানুষকে বাঁচাতে সর্বাত্মক লড়াই করতে হবে— শুরু হোক ৯ জুলাই থেকে।
Comments :0