9 JULY GENERAL STRIKE

এই ধর্মঘট বদলে দিক বাংলার রাজনীতি

উত্তর সম্পাদকীয়​

সুদীপ দত্ত
ভারত তার নয়া উদারবাদী পর্বের ২২তম সাধারণ ধর্মঘটের দিকে এগচ্ছে। এই ধর্মঘটগুলোকে সাধারণ ভাবে দেখা হয় সমসাময়িক  অর্থনৈতিক দাবিদাওয়া নিয়ে শ্রমজীবী মানুষের লড়াই হিসাবে। আর তার ফলে সাধারণ ধর্মঘটের প্রকৃত রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে চিনে ওঠার ক্ষেত্রে এক সামাজিক-মানসিক সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। প্রশ্ন  হলো বর্তমান দেশ ও রাজ্যের চলতে থাকা রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে কি এই লড়াই অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত, নাকি এ এক অতিরিক্ত সংযোজন আমাদের দৈনন্দিন সংগ্রামে। বাংলার ভেঙে পড়া সরকারি ব্যবস্থা, লাগামছাড়া দুর্বৃত্তায়ন আর সামাজিক স্থবিরতার বিরূদ্ধে লড়াইয়ের সাথে এই ধর্মঘটের সম্পর্কই বা কি, এই প্রশ্নের উত্তর আমরা খোঁজার চেষ্টা করবো এই লেখায়। আর তার জন্য বুঝতে চেষ্টা করবো সাধারণ ধর্মঘটের মানে, বর্তমান দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে। 
একাজের জন্য প্রথম প্রয়োজন হলো ধর্মঘট সংগ্রামের একটা সঠিক পরিমাণগত ও গুণগত বিশ্লেষণ। এই কাজটি আসলে সকল শ্রমজীবী জনতার সংগঠনের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ একমাত্র এই বিশ্লেষণের মধ্য দিয়েই ধরা যাবে পুঁজিবাদের বিকাশের বর্তমান ধাপ ও তার গতিপ্রকৃতিকে। একইসাথে বুঝতে পারা যায় আজকের দিনের  শ্রমজীবী শ্রেণি ও তার চেতনার রূপকে।
ধর্মঘট নিয়ে সব যুগেই সন্দেহ ও সংশয় ছড়াতে চেষ্টা করে শাসক শ্রেণির মুখপাত্র ও বুর্জোয়া সমালোচকেরা। ধর্মঘটের দিন কেউ কেউ এর সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে, আবার কেউ বা দরিদ্র মানুষের জীবিকা ও দেশের আর্থিক ক্ষতি নিয়ে হাহাকার করতে বসে। এই একটি দিন লুটপাটের সর্দাররা হঠাৎ যেন সব আত্মত্যাগী সাধু হয়ে ওঠে। এদের এই ভণ্ডামির একমাত্র জবাব হলো শ্রেণি-চেতনা গড়ে তোলার প্রক্রিয়া হিসাবে ধর্মঘটকে দেখা আর তার মধ্য দিয়ে শ্রেণি-শক্তির অদম্য বহিঃপ্রকাশ ঘটানো। আসলে ধর্মঘটে রাস্তায় থাকা ধর্মঘটীরা নিজেদের শক্তি মেপে নিতে পারে, আর গোটা সমাজও বুঝে নিতে বাধ্য হয় যে সমাজের প্রকৃত চালিকা শক্তি কারা। 
আর এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে সাধারণ ধর্মঘট কেবল প্রতিবাদের হাতিয়ার নয়— এটি ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীদের শক্তি, সংগঠনের ক্ষমতা ও তার সমাজজোড়া প্রভাব মাপার একটা প্রক্রিয়াও বটে। একই সঙ্গে ধর্মঘট হলো রাজনৈতিক চেতনার মাত্রা যাচাই করারও উপায় অর্থাৎ ধর্মঘটের রাজনীতির বোধ কতটা শ্রমজীবীদের মধ্যে প্রবেশ করেছে তা বোঝার এক সুযোগ। ধর্মঘটের পরীক্ষা থেকেই স্পষ্ট হয়, বর্তমানে সংগঠিত শ্রমজীবী আন্দোলনের শক্তি ও দুর্বলতাগুলি কী কী।
নিঃসন্দেহে সাধারণ ধর্মঘটের একটা বড় অর্থনৈতিক তাৎপর্যও রয়েছে। এটি উৎপাদন ও পণ্যের পরিবহণ, পরিষেবা— সবকিছুর মধ্যেই একটা ছেদ এনে দেয়। এটা শুধুমাত্র একক কোনও শিল্পক্ষেত্রে নয়, বরং গোটা ভ্যালুচেইনের বিভিন্ন স্তর ও পর্যায়কে একসাথে আঘাত করে। এই ধর্মঘট সরাসরি চারটি শ্রেণি-প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে— উদ্বৃত্ত উৎপাদন, উদ্বৃত্তের অধিগ্রহণ, বিতরণ ও ভোগ। এই একযোগে আঘাত পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যের শ্রেণিদ্বন্দ্বকে একেবারে সামনে নিয়ে চলে আসে, প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্রব্যবস্থার শ্রেণিচরিত্রকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে দেয়, আর সমাজের শাসক ও শোষিত এই দু’টি বিপরীত শিবিরকে একেবারে স্পষ্টভাবে চোখের সামনে নিয়ে আসে।
তবে এটা সাধারণত স্বতঃস্ফূর্ত কোনও প্রক্রিয়ায় হয় না; শুধুমাত্র অর্থনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলেই ধর্মঘট আপনা থেকে এরকম রাজনৈতিক রূপ নেবে, ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। বরং, সাধারণ ধর্মঘট এই রাজনৈতিক রূপ তখনই পায়, যখন শ্রমজীবী মানুষ তার নিজের জীবন আর সংগ্রামের অভিজ্ঞতা দিয়ে রাষ্ট্রের চরিত্রকে চিনতে শুরু করে। আর তার ফলে শিল্পভিত্তিক ধর্মঘটের বাড়া-কমার সাথে সাধারণ ধর্মঘটের শক্তির সরাসরি সম্পর্ক দেখা যায়। 
ধর্মঘট সম্পর্কে এই সাধারণ ধারণার বিপরীতে ভারতের বর্তমান ধর্মঘট-সংগ্রামের অভিজ্ঞতা এক চমকপ্রদ দিক হাজির করছে। একে সঠিকভাবে বোঝার জন্য আমাদের সমকালীন ধর্মঘটগুলোকে ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করতে হবে। ভারতে ধর্মঘট সংক্রান্ত সরকারি পরিসংখ্যান খুবই অনির্ভরযোগ্য। আর যদিও আজকাল সরকারি তথ্য ও পরিসংখ্যান মূলত বাস্তব পরিস্থিতিতে হয় ইচ্ছাকৃতভাবে লুকোতে বা গুরুত্ব কমানোর উদ্দেশ্যেই প্রকাশিত হয়, তবুও হাতে থাকা সরকারি রিপোর্টের ভিত্তিতেই আমরা ধর্মঘটের বর্তমান প্রবণতা বোঝার চেষ্টা করবো। 
প্রতিবছর কেন্দ্র সরকার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে—“Statistics on Industrial Disputes, Closures, Retrenchments and Lay-offs in India”। এই রিপোর্টের সর্বশেষ সংস্করণ ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে। গত দু’দশকের রিপোর্টগুলো ঘাঁটলে দেখা যায়, শিল্পক্ষেত্রে ধর্মঘটের সংখ্যা, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এবং শ্রম ঘণ্টার লস—সবই উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে, ঠিক একই সময়ে দেশে সাধারণ ধর্মঘটগুলো হয়ে উঠেছে অনেক বেশি নিয়মিত, মানুষের অংশগ্রহণে পূর্ণ ও আরও বেশিভাবে লড়াকু। এই বাস্তবতা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ধর্মঘটের মধ্যেকার সম্পর্কের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে দেয়।
১৯১২সালের “Economic and Political Strikes”নামের প্রবন্ধে কমরেড লেনিন লিখেছিলেন, “যখন আন্দোলন তার চূড়ায় পৌঁছে ছিল (১৯০৫সালে), যখন অর্থনৈতিক সংগ্রামের ভিত্তিছিল সবচেয়ে প্রশস্ত, তখনই রাজনৈতিক ধর্মঘটগুলো একটি দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। ”তিনি লিখছেন, “১৯০৫ সালের প্রথমভাগে অর্থনৈতিক ধর্মঘটের সংখ্যা রাজনৈতিক ধর্মঘটের তুলনায় অনেক বেশি ছিল, কিন্তু শেষভাগে হয়েছিল ঠিক তার উলটো… তবু সবসময়ই এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিল স্পষ্ট।”
ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি কিন্তু অনেকটাই এর চেয়ে ভিন্ন। আর তার কারণ লুকিয়ে আছে বর্তমান উৎপাদনের প্রক্রিয়া, শ্রমিক নিয়োগের সম্পর্ক এবং গোটা সামাজিক উৎপাদন ও পুনরুৎপাদনের কাঠামোর পরিবর্তনের মধ্যে। আজকের পুঁজিবাদ যেন এক বিশাল, বহুস্তরীয় ও বহুমাত্রিক শোষণ যন্ত্র যা বিপুলগতিতে সমাজের প্রায় সব অংশ থেকে উদ্বৃত্ত শোষণ করে চলেছে। 
এখনকার পুঁজিবাদে পরিবহণ, যোগাযোগ ও দূরবর্তী পরিচালনার প্রযুক্তিগত বিপ্লব সমগ্র উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে হাজার হাজার টুকরোয় ভেঙে ফেলেছে। বিশ্বায়িত পুঁজির গতি ও নানা অর্থনৈতিক জোনের উপস্থিতি পুঁজিবাদের জন্য এই টুকরো করার কাজকে সহজ করে তুলেছে। আজকের দিনে দেখা যাবে একটি গাড়ি কারখানা বিভিন্ন স্তরে কয়েক হাজার সরবরাহকারীর কাছ থেকে যন্ত্রাংশ আর কাঁচামাল খরিদ করে। অর্থাৎ, উৎপাদন-শৃঙ্খলে হাজার হাজার সংস্থা জুড়ে রয়েছে আর তারা ছড়িয়ে রয়েছে দেশে-বিদেশে। এইভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্র শ্রমিক ইউনিটগুলোতে যুক্ত কর্মীরা মূল কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনও বড় আকারের শিল্পধর্মঘটের পথে হাঁটতে পারে না। কারণ, একদিকে এই ছোট ইউনিটগুলোতে শ্রমিকের সংখ্যা কম, অন্যদিকে সেইসব ছোট প্রতিষ্ঠানের লাভের হার তুলনামূলক ভাবে কম, আর তার উপরে কর্মসংস্থানের নড়বড়ে কাঠামো ও অস্থায়ীত্বের ফলে সংগঠিত হওয়ার সুযোগও খুব কম।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অনিয়মিতকরণ। অনেক রাষ্ট্রায়ত্তক্ষেত্রে আজ ৭০ শতাংশ বা তার বেশি কর্মী চুক্তিভিত্তিক। বেসরকারি ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ। এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী, যার মাসিক বেতন ১০,০০০টাকা, যাকে সহজেই ছেঁটে ফেলা যায়— সে কীভাবে নির্ভয়ে শিল্পভিত্তিক দীর্ঘ সময়ের ধর্মঘটের পরিকল্পনা করবে? তার কারখানার গেটের বাইরে অপেক্ষা করছে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক— চাকরির আশায়। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই অনিশ্চয়তা আরও ভয়ঙ্কর। তাই তারা এই সামগ্রিক নিরাপত্তাহীনতায় মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত আর ক্ষুব্ধ, কিন্তু আলাদা করে কোনও কারখানা-ভিত্তিক ধর্মঘট করা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের জন্য বেশ কঠিন।
তৃতীয়, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—পুঁজিবাদ এখন ভারতের সমাজজীবনের গভীরতম স্তর অবধি তার হাত ছড়িয়ে ফেলেছে। বাজার, ঋণ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে এক অদৃশ্য উদ্বৃত্ত-আহরণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে— যার মধ্যে পড়ছেন স্বনিযুক্ত শ্রমিক, ক্ষুদ্র উৎপাদক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক সহ সকলেই। রাষ্ট্র, বাজার ও কর্পোরেট পুঁজির হামলার ফলে দেশের অন্তত ৫০শতাংশ জনগণ আজ অমানবিক পরিস্থিতিতে জীবন কাটাচ্ছেন, তীব্রভাবে অসন্তুষ্ট হয়ে আছেন এই গোটা ব্যবস্থার উপর।
সাধারণ ধর্মঘট এই বিভিন্ন, বিচিত্র, ছড়ানো, কিন্তু উদ্বৃত্ত উৎপাদনে যুক্ত এই বিরাট শ্রমজীবী বাহিনীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এটা তাদের জীবন সংগ্রামের আর যন্ত্রণার অভিব্যক্তি— একটা যেন অসংলগ্ন, হয়তো অনিয়মিত তবু প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘোষণা– তারা বেঁচে আছে, আর লড়ার শক্তি নিয়েই আছে। নিশ্চয়ই, শিল্পক্ষেত্রে যুক্ত সংগঠিত শ্রমিকরাই এই আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকবে, কিন্তু এই সাধারণ ধর্মঘটের বিস্তৃতি ও প্রভাব আজ ব্যাপক অংশের জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। তৈরি হয়েছে এর ব্যাপক জনসমর্থনের বস্তুগত ভিত্তি। স্বাভাবিকভাবেই এই নতুন পরিস্থিতি আমাদের মতো বিপ্লবী পার্টির কাছে নতুন রাজনৈতিক কর্তব্য হাজির করেছে। 
আজ পুঁজিবাদী ব্যবস্থার নিজের কাঠামোগত পরিবর্তনের ফল হিসাবেই সাধারণ ধর্মঘটকে রাজনৈতিক ধর্মঘটে রূপান্তর করার জমি তৈরি হয়ে গেছে। অথচ এখনও দেশে সংগঠিত ধর্মঘটগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রক্ষণাত্মক— যেখানে শ্রমিকরা রাষ্ট্র ও পুঁজির আক্রমণ (যেমন লেবারকোড বদলানো) রুখতে লড়াই করছে। আমাদের বুঝতে হবে, আজ পুঁজিবাদ নিজেই গভীর সঙ্কটে, এবং এই যুগের প্রয়োজন ধর্মঘট-সংগ্রামকে শুধু প্রতিরোধ নয়, বরং ব্যবস্থা বদলের লক্ষ্যে আরও আক্রমণাত্মক করে গড়ে তোলা। এই সঙ্কটকালীন অবস্থার প্রকৃত দাবি হলো শ্রমজীবী জনতার জঙ্গি প্রতি-আক্রমণ। তবে শুধু তা দিয়েই হবে না, এই সাধারণ ধর্মঘটকে রাজনৈতিক ধর্মঘটে রূপান্তর করতে গেলে চাই রূপান্তরমুখী, ভবিষ্যৎ-সমাজ নির্মাণে সক্ষম কিছু সুস্পষ্ট দাবি— যে দাবি কেবল শাসক ও চালু ব্যবস্থার বাস্তবতাকে উন্মোচিত করবে না, বরং সমাজের সামনে এক নতুন দিশাও তুলে ধরবে।
এইরকম কিছু নির্দিষ্ট, বাস্তব বিকল্প তুলে ধরার নীতিই পারে আজকের সর্বব্যাপী, বৈচিত্রময়, বিচ্ছিন্ন, অথচ উদ্বৃত্তের উৎপাদনে যুক্ত ব্যাপক শ্রমজীবী জনতাকে একটি রাজনৈতিক সাধারণ ধর্মঘটে ঐক্যবদ্ধ করতে। শুধু চাই ভবিষ্যতের কল্পনা, একটা বিকল্প রাজনৈতিক চিত্রকল্প। শুধু ‘এইটা বাতিল করো’, ‘ওটা রুখে দাও’ নয়, আজকে ‘আমরা চাই এইরকম একটা সমাজ’ বলাটাই সময়ের দাবি। আর কল্পনার এই আগুন ছড়াতে হবে ধর্মঘটের মধ্য দিয়েই। তখনই এই বিশাল জনশক্তি একটি সাধারণ ধর্মঘটে একত্রিত হয়ে নিজেদের অস্ত্বিত্ব আর আকাঙ্ক্ষা জানান দেবে।
আর তাই এই ধর্মঘট এক পরীক্ষা বাংলার সামনে। বাংলার সমাজের দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে আমাদের জমে থাকা রাগ আছড়ে ফেলার দিন আগামী ৯ জুলাই। শ্রেণির শক্তি আর সংখ্যা মেপে নেওয়ার দিন ৯ জুলাই। অত্যাচারী শোষক আর তাদের দালালদের প্রাসাদে কাঁপন ধরানোর দিন ৯ জুলাই। শত্রুরা বলে যে প্রতিটি ধর্মঘটের পেছনে লুকিয়ে থাকে দিন বদলের দৈত্য, বাংলার মাটিতে আমাদের প্রতিজ্ঞা রইল সেই দৈত্যকে জাগিয়ে তোলার।
Highlights
এই ধর্মঘট এক পরীক্ষা বাংলার সামনে। বাংলার সমাজের দমবন্ধ করা পরিস্থিতিতে আমাদের জমে থাকা রাগ আছড়ে ফেলার দিন আ ৯ জুলাই। অত্যাচারী শোষক আর তাদের দালালদের প্রাসাদে কাঁপন ধরানোর দিন । শত্রুরা বলে যে প্রতিটি ধর্মঘটের পেছনে লুকিয়ে থাকে দিন বদলের দৈত্য, বাংলার মাটিতে আমাদের প্রতিজ্ঞা রইল সেই দৈত্যকে জাগিয়ে তোলার।

Comments :0

Login to leave a comment