GENERAL KNOWLEDGE — TAPAN KUMAR BIRAGAYA — KHUDIRAM BOSE O SUBHASHCHANDRA BOSE — NATUNPATA | 15 AUGHST 2025, 3rd YEAR

জানা অজানা — তপন কুমার বৈরাগ্য — ক্ষুদিরাম বসু ও সুভাষচন্দ্র বসু — নতুনপাতা, ১৫ আগস্ট ২০২৫, বর্ষ ৩

ছোটদের বিভাগ

GENERAL KNOWLEDGE  TAPAN KUMAR BIRAGAYA  KHUDIRAM BOSE O SUBHASHCHANDRA BOSE  NATUNPATA  15 AUGHST 2025 3rd YEAR

জানা অজানানতুনপাতা

 

ক্ষুদিরাম বসু ও সুভাষচন্দ্র বসু
 

তপন কুমার বৈরাগ্য

 

ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর চেয়ে বারো বছরের বড়। সুভাষচন্দ্রের বয়েস যখন এগারো বছর তখন ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়। ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয় ১৯০৮খ্রিস্টাব্দের ১১ই আগস্ট।
সেদিন ছোট্ট সুভাষ চন্দ্র বসু ক্ষুদিরামের জন্য খুব কেঁদেছিলেন। ১৯০৯খ্রিস্টাব্দে তিনি ভর্তি হন কটকের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে। সালটা ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ।ব্রিটিশ সরকারের কড়া নির্দেশ
কোনো বিপ্লবীর ছবি ঘরে রাখা যাবে না। এমনকি কোনো দোকানেও বিপ্লবীদের ছবি বিক্রি করা যাবে না। তেরো বছরের সুভাষচন্দ্রের কিছু প্রিয় বন্ধু ,যারা ছিলেন ভারতমায়ের উৎসর্গীকৃত
প্রাণ,সুভাষচন্দ্র ঠিক করলেন তাদের নিয়ে এগারোই আগস্ট শহীদ ক্ষুদিরামের ফাঁসি দিবস পালন করবেন।ঐদিন তাঁরা ক্ষুদিরাম স্মরণে উপবাস পালন করবেন।এক গ্লাস জল পর্যন্ত পান করবেন না।সুভাষচন্দ্র সকলকে বললেন--আমরা সকলে ক্ষুদিরামের 
গলায় মালা দেবো এবং সারাটা দিন তার ছবির সামনে বসে থাকবো।কিন্তু ক্ষুদিরামের ছবি কোথায় পাওয়া যাবে? কারো ঘরে তো বিপ্লবীদের ছবি টাঙানো নেই।এমনকি ছবির দোকানেও বিপ্লবীদের ছবি বিক্রি হয় না। সুভাষ বন্ধুদের
বললেন--তিনি যেখান থেকেই হোক ক্ষুদিরামের ছবি নিয়ে আসবেন। কটক শহরের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেন।সব জায়গায় একই উত্তর --বিপ্লবীদের ছবি রাখা দন্ডনীয় অপরাধ। সুভাষ দমবার
পাত্র নয়। কটক শহরের শেষপ্রান্তে চলে এলেন। সেখানে ছিলো এক কুঁড়েঘর।  সেই কুঁড়েঘরের দরজা নাড়তেই একজন বৃদ্ধ বেড়িয়ে এলেন। বৃদ্ধ তাঁর আসার কারণ জিজ্ঞেস করায়,
সুভাষ বললেন---আপনার কাছে বিপ্লবী ক্ষুদিরামের ছবি আছে? কেন ক্ষুদিরামের ছবি চায় বৃদ্ধ তার কারণ জিজ্ঞেস করলেন। সুভাষ উত্তর দিলেন-- আমরা অগ্নিশিশু ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি দিবস পালন করবো। বৃদ্ধ ঘর থেকে অতি যত্ন করে রাখা
ক্ষুদিরামের ছবিটা এনে সুভাষ চন্দ্রের হাতে তুলে দিলেন এবং-- তাঁকে আশীর্বাদ করে বললেন--তুমি বাবা একদিন ভারতের মুখ উজ্জ্বল করবে।তোমার নাম কেউ কখনো ভুলবে না।
পরেরদিন তাঁরা স্কুলের বাইরে একটা গাছের নীচে শ্রদ্ধার সাথে অগ্নিশিশু ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি দিবস পালন করলেন। এই বিষয়টা ঐ স্কুলের একজন শিক্ষক বেণীমাধব দাস দেখলেন। তিনি সুভাষচন্দ্রকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।
তিনি সুভাষচন্দকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করলেন। এই বেণীমাধব দাস ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। যিনি সুভাষচন্দ্রকে গভীরভাবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

 
 

Comments :0

Login to leave a comment