মীর আফরোজ জামান: ঢাকা
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু রোড মার্চ পৌঁছেছে চট্টগ্রামে। সেখানেই সমাবেশে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন বামপন্থী জোটের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় বন্দরের ৪ নম্বর ফটকের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। নিউমুরিং টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়ার প্রতিবাদে মুখর হন বক্তারা। স্লোগান ওঠে, ’মা মাটি মোহনা, বিদেশিদের দেব না’।
দেশের বামপন্থী দল ও সংগঠনগুলির সমন্বয়ে গঠিত ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ নামের একটি মঞ্চ শুক্রবার ঢাকা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করে।
বাংলাদেশেও নেমেছে এলন মাস্কের স্যাটেলাইট ফোন পরিষেবা স্টারলিঙ্ক। সেই সঙ্গে রাখাইন করিডরের প্রস্তুতি চলছে। তার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। স্লোগান উঠেছে, বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ চক্রে জড়ানোর উদ্যোগ বন্ধ কর।
এদিন ফেনীতেও মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) রোড মার্চ কর্মসূচির দাবি তুলে ধরেন।
ফেনীতে রুহিন হোসেন বলেন, ’আমরা মনে করি, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা, আধিপত্যবাদ আর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আকাঙ্ক্ষা। গণ-অভ্যুত্থানকে কোনোভাবে বিতর্কিত করা যাবে না। পাহাড়িদের ওপর নির্যাতন করা যাবে না, দেশে কোনোভাবে বৈষম্য তৈরি করা যাবে না, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।’’
এদিকে ঢাকায় গত ৫ আগস্ট ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়’ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল থেকেই বিজয় সরণির ওই ভাস্কর্য ঘিরে বানানো 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' এর সাতটি দেয়াল ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়, তা চলে দিনভর।
Comments :0