সমঝোতায় চিহ্নিত এলাকা থেকে সেনা সরানো হয়ে ছে বলে দাবি জানালো ইজরায়েল। শুক্রবার সকালে ইজরায়েলের মন্ত্রিসভায় বন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিধ্বস্ত গাজায় এদিন উত্তর অংশ থেকে হটে যাওয়া বাসিন্দাদের ফিরতে দেখা গিয়েছে। ঘর হারানো, সন্তান-পরিজন হারা হাজার হাজার পরিবার সারি দিয়ে হেঁটে ফিরছেন আশঙ্কা নিয়েও।
ইজরায়েলের সেনা বলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত কুড়ি দফা সমঝোতা শর্ত মেনে সরানো হচ্ছে সেনা। বৃহস্পতিবার রাতে মিশরে গাজার প্রতিরোধী গোষ্ঠী হামাস এবং ইজরায়েলের পরোক্ষ আলোচনায় সংঘর্ষবিরতির সমঝোতা হয়েছে। কাতার, মিশর, আমেরিকার প্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় আলোচনা হলেও গাজা থেকে পুরোপুরি সেনা সরানো হবে কিনা স্পষ্ট নয়।
ইজরায়েল বলেছে, সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির প্রথম দফা কার্যকর হচ্ছে। তার মধ্যে দু’তরফের বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বোঝাপড়া রয়েছে।
সমঝোতা অনুযায়ী গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দেওয়ার কথা ইজরায়েলকে। দিনে এমন ৬০০ ট্রাক ছাড়ার কথা।
প্রায় ২৩ লক্ষ জনসংখ্যার গাজা ভূখণ্ডে প্রায় কোনও বাড়ি অক্ষত নেই দু’বছর ধরে অবিরাম গোলাবর্ষণে।
সংঘর্ষ বিরতির আলোচনায় হামাসের প্রতিনিধিদলের প্রধান খলিল আল হায়া বলেছেন, আমেরিকা এবং অন্য দেশের মধ্যস্থতাকারীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে সমঝোতার প্রথম পর্ব কার্যকর হলে গাজায় আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ হবে।
হামাস সহ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অংশের আশঙ্কা রয়েছে যে হামাসের হাতে বন্দিদের হাতে পেয়ে গেলে ফের সংঘর্ষ বিরতি ভাঙতে পারে ইজরায়েল। গত দু’বছরে স্থায়ী সংঘর্ষ বিরতির সম্ভাবনা ভেস্তে গিয়েছে ইজরায়েলের এমন আচরণে।
দু’বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজারের বেশি। হাজার হাজার নির্মাণ গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। সেই আগ্রাসনে প্রধান মদতদাতা আমেরিকা। গাজার ১ লক্ষ ৬৯ হাজার বাসিন্দা গুরুতর আহত। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিশুদের মধ্যে।
এর মধ্যে রেড ক্রস বলেছে, বন্দিদের মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদে ফেরাতে হবে। রেড ক্রসের সভাপতি মিরজানা স্পোজারিক বলেছেন, সংঘর্ষ বিরতির এই সমঝোতাকে কাজে লাগিয়ে গাজায় দু’বছরের ভয়বাহতার অবসান জরুরি। তবে বিপর্যস্ত গাজায় সামনের দিনগুলিও যথেষ্ট সঙ্কটময়।
GAZA Ceasefire
শঙ্কা নিয়েও ঘরে ফিরছেন গাজার বাসিন্দারা

×
Comments :0