সবজি মরশুমে পূর্বস্থলীতে উৎপাদিত সবজির দাম থাকে না। কোনও কোনও সময় জমিতে সবজি কেটে ফেলে দিতে হয় বা গবাধি পশুদের খাইয়ে দিতে হয়। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে কালেখাতলা এবং ফলেয়াতে দুটি সবজি হিমঘর তৈরি করতে হবে। এই দাবি তুলে বুধবার সিপিআই(এম) পূর্বস্থলী ২ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে পূর্বস্থলী ২ বিডিও দপ্তর চত্বরে সোচ্চার হন পূর্বস্থলীর মানুষ।
কৃষি প্রধান কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী দু'নম্বর ব্লক সবজি উৎপাদনে সেরা স্থান দখল করে আছে। এই ব্লকের অধিকাংশ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারই কর্পোরেট দুনিয়ার স্বার্থ দেখতে গিয়ে কৃষকের স্বার্থ অবহেলিত থেকে গেছে। সেই অবহেলার কারণেই পূর্বস্থলীতে সবজি হিমঘর গড়ে ওঠেনি। ফলে কৃষকদের লাভের বদলে লোকসানের বহর দিন দিন বাড়ছে। আর কৃষিতে লাভ না হওয়ার কারণে ক্ষেতমজুররাও কাজ থেকে বঞ্চিত থাকছেন। ফলে বহু শ্রমজীবী মানুষ এলাকা ছেড়ে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের জীবন বেছে নিচ্ছেন। সেখানে গিয়েও শান্তি নেই, তাঁদের উপর বাংলাদেশি তকমা চাপিয়ে চরম নির্যাতন নামিয়া আনা হচ্ছে। তাই সমস্যা সমাধানে এলাকায় কর্মশ্রী প্রকল্পে সমস্ত গরিব মানুষকে কাজ দিতে হবে পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজও চালু করতে হবে। সাথে কৃষিতে উৎপাদিত ফসলের লাভজনক দাম দিতে হবে। এছাড়াও সমস্ত গৃহহীন গরীব মানুষকে সরকারি আবাসন প্রকল্পের ঘর দিতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। শ্রমিকদের স্বার্থ বিরোধী শ্রমকোড বাতিল করতে হবে। গ্রামের বেহালা রাস্তাঘাট ও মজে যাওয়া নিকাশি নালাগুলি সংস্কার করতে হবে। বিডিও অফিস চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সভায় দাবিগুলির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ। কৃষক নেতা ফখরুদ্দিন মন্ডলের নেতৃত্বে সাতজনের একটি প্রতিনিধি দল বিডিওর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। এদিন কাজ চেয়ে সাতশোরও বেশি গরিব মানুষের ৪ক ফর্ম বিডিও জমা নিতে বাধ্য হন।
মন্তব্যসমূহ :0