রূপনারায়নের পাড়েই বিস্তীর্ণ কোলাঘাট এলাকা। প্রতিবছর বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় কোলাঘাট উপনগরী ও গ্রামাঞ্চল। একেবারে রূপনারায়নের পাড়ের গ্রাম গুলির মানুষজন নদীবাঁধ ভাঙার ভয়ে থাকে। ভাঙনের অন্যতম কারন অবৈধ বালি খাদান আর দেদার নদীপাড়ের মাটি চুরি। তবে এতকিছুর পরেও প্রশাসন নির্বিকার। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রীর বাড়িও কোলাঘাটে। মন্ত্রীরও কোনও গুরুত্ব নেই এসব বিষয়ে। কোলাঘাটের প্রতিদিনের সমস্যার মধ্যে আছে বেহাল নিকাশি, খারাপ রাস্তা। রূপনারায়নের সাথে সংযুক্ত দেহাটি খালের সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। ফলে জল নিকাশি না হওয়ার ফলে কৃষিকাজ যেমন বন্ধ তেমনি রাস্তার জমা জলও বেরোচ্ছেনা। পাশাপাশি কোলাঘাটের প্রধান রাস্তাগুলির একেবারেই বেহাল দশা। এই সমস্ত সমস্যার নিয়ে সিপিআই(এম)'র উদ্যোগে একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সেভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার এই সমস্ত সমস্যার সমাধান সহ অবলম্বে একশো দিনের কাজ চালু করা, কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম প্রদান, সারের কালোবাজারি বন্ধ করার দাবিতে সিপিআই(এম) কোলাঘাট ১,২ ও ৩ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে মিছিল হয়। বিডিও'র কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয় এদিন। বাসস্ট্যান্ড থেকে বিবেকানন্দ মোড় হয়ে বিডিও অফিস পর্যন্ত দীর্ঘ পথ মিছিল হয়। একশো দিনের কাজের দাবি নিয়ে সোচ্চার ছিলেন অসংখ্য মহিলা। পুলিশের হুমকি, শাসক দলের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই তিন ঘণ্টার বেশী সময় ধরে ঘেরাও হয় কোলাঘাট বিডিও অফিস। রাজ্যের শাসকদলের মদতে পরিচালিত হচ্ছে বিডিও সহ আধিকারিকরা এমন অভিযোগ করেন মিছিলে থাকা মহিলারা। সাধারণ মানুষ তাঁদের আবেদন পত্র নিয়ে অবস্থান করেন দীর্ঘক্ষণ। আদালতের নির্দেশ মতো আগষ্ট মাস থেকে একশ দিনের কাজ কেন চালু হলনা তার জবাব বিডিও কে দিতে হবে এমন দাবি উঠে। মজুরি বৃদ্ধি, খেতমজুরদের কাজ, গ্রামীণ রাস্তা নিকাশি খাল সংস্কার, সামাজিক সুরক্ষার দাবি নিয়ে এদিন কয়েকশ মানুষের মিছিলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কোলাঘাট শ্রীবরা সড়ক। অবস্থান বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন নেতৃবৃন্দ। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, ইব্রাহিম আলি, কাঞ্চন মুখার্জী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ :0