President Self Reliance

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে স্বনির্ভরতায় বিশেষ জোর রাষ্ট্রপতির

জাতীয়

স্বনির্ভরতার পথে এগচ্ছে দেশ। গভীর আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলছে সে পথে। 
স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রথামাফিক ভাষণে, বৃহস্পতিবার, এই বারতা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে টালমাটাল এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ঘিরে সংশয়ের আবহে রাষ্ট্রপতির এই বার্তা। 
মুর্মু বলেছেন, ‘‘স্বদেশির ধারণা আমাদের জাতীয় প্রয়াসের বিভিন্ন দিককে উদ্বুদ্ধ করেছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ তার উদাহরণ। সংকলপ নিন, আমরা ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করব।’’
রাষ্ট্রপতির ভাষণে মুখ্যত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিই প্রতিফলিত হয়। কেন্দ্রে আসীন বিজেপি সরকারের সময়েই যদিও বিদেশি এবং দেশি বহুজাতিকদের জন্য নির্বিচারে অর্থনীতির ভিত্তি ক্ষেত্র খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে বিমার মতো ক্ষেত্রে একের পর এক সেই উদ্যোগে তীব্র হয়েছে প্রতিবাদ। বস্তুত গত ৯ জুলাই সর্বভারতীয় ধর্মঘটে শ্রমিক এবং কৃষক সংগঠনগুলি একজোটে এই অভিমুখ বদলের দাবিতে সরব হয়েছে। স্বনির্ভতার অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে বাঁচিয়ে তোলার দাবিতে সরব হয়েছে। 
মুর্মু বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতার পর আমরা যে গণতন্ত্রের পথে এগিয়েছি তা হলো প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার থাকবে। দেশের জনগণ নিজেদের ভবিষ্যত ঠিক করার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘নানা বাধা সত্ত্বেও দেশের মানুষ সাফল্যের সঙ্গে গণতন্ত্রকে প্রয়োগ করেছেন।’’ 
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে আমাদের সংবিধান এবং গণতন্ত্রের গুরুত্ব সব কিছুর ওপরে।’’
বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্ট বিহারের ‘এসআইআর’ ঘিরে নির্বাচন কমিশনকে তালিকায় বাদ পড়েছেন এমন সব ভোটারের নাম প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। কারণও জানাতে বলে স্বচ্ছভাবে। কমিশনের এই ‘এসআইআর’ তৎপরতায় ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে বিরোধী সাংসদরা একজোটে রাস্তায়। প্রতিবাদে শামিল হয়েছে বিভিন্ন অংশ। 
আমেরিকার সঙ্গে তোষামোদের নীতি নিয়ে লাভ হয়নি মোদী সরকারের। ইজরায়েলের আগ্রাসনে পরোক্ষ সমর্থন চালানোর পাশাপাশি বাণিজ্য সমঝোতার জন্য দু’দেশের কথাবার্তাও কয়েক ধাপ এগিয়েছিল। পহেলগাম হামলার পর সংঘাত থামানোর দাবিতে ট্রাম্প বিবৃতি দিলেও ভারত সরাসরি তার নিন্দা করেনি, প্রতিবাদও করেনি। আমেরিকা ভারতের কৃষি এবং ডেয়ারি বাজার দখলে মরিয়া, এ খবর বেরিয়ে পড়তেই প্রতিবাদে সরব হন কৃষকরা। ফলে এখনই সম্মতি দিতে পারছে না মোদী সরকার। 
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়েছেন। রাশিয়ার থেকে ভারত কম দামে তেল কেনে কেন, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে আমেরিকা। বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এখন ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীর দেশ চীন, রাশিয়া বা ব্রাজিলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর পথ খুঁজতে হচ্ছে। 
মুর্মু বলেছেন, ‘‘অপারেশন সিন্দুর’ ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার পরীক্ষা ছিল। ফলাফল জানিয়েছে যে আমরা সঠিক পথে রয়েছি। আমাদের সুরক্ষা প্রয়োজন মেটাতে দেশের ভেতর উৎপাদন উল্লেখযোগ্য স্তরে পৌঁছেছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment