সমবায় ব্যবস্থাকে দুর্নীতি মুক্ত করে প্রান্তিক গরীব মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতিসাধনের লক্ষ্যে ধারাবাহিক আন্দোলনের ডাক সমবায় সম্মেলনে। পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও মঞ্চ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পঞ্চম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল শুক্রবার নিমতৌড়ির এবিটিএ ভবনে। এদিন সম্মেলন উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ভোলানাথ দত্ত। তিনি বলেন "ভারতবর্ষে সমবায় ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। মূলত খাদ্যাভাব, দারিদ্র্য দুরীকরন, প্রান্তিক মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের লক্ষে এমন ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল। সমবায়ের আদর্শ নিয়মাবলী সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর লেখনীতে উল্লেখ করেছিলেন। কাদম্বরী দেবীর বিভিন্ন লেখার মধ্যেও সমবায় ব্যবস্থার কথা রয়েছে। প্রাচীন এই ব্যবস্থার আজ কী অবস্থা? তা আলোচনার বিষয়। কেন্দ্রের সরকার বরাদ্দ কমাচ্ছে সমবায়ে। প্রকৃত উন্নতিসাধনের লক্ষ নেই সরকারের। অথচ দেশের গ্রামীন অর্থনীতিতে সমবায়ের যোগদান সবথেকে বেশী। অথচ ব্রাত্য থাকছে এই ক্ষেত্র।"
বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুকান্তি মুখার্জী বলেন, "সমবায়ের নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধ এবং পরিষেবার উন্নতি করতে হবে সেইসঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধেই আমাদের সংগঠনের লক্ষ। বর্তমান সময়ে এরাজ্যে সমবায় গুলির মাধ্যমে শাসক দলের লক্ষ অর্থনৈতিক লাভবানের। ফলে অনেক সমবায় আর্থিক দুর্নীতির কারনে বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অনেক সমবায় আছে যেগুলির সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে অনৈতিক ভাবে। চিহ্নিত করতে হবে সেই সমবায় গুলিকে।"
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য নেতা বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সাংসদ প্রশান্ত প্রধান, গণআন্দোলনের নেতা নিরঞ্জন সিহি।
এদিন সম্মেলনের শুরুতে সংগঠনের সাতরঙা পতাকা উত্তোলন করেন প্রাক্তন সাংসদ প্রশান্ত প্রধান। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানান সমবায়ীরা। এদিন সম্মেলনে জেলার ১৯টি ব্লক থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে হিমাংশু দাস সভাপতি, কমল তোলা কার্যকরী সভাপতি, গঙ্গাধর মন্ডল সম্পাদক ও যাদবেন্দ্রনাথ সাহু কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন। সেইসঙ্গে ৪৬জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ :0