TMC COUNCILOR

‘চোর’ কাউন্সিলরকে ঘিরে মহেশতলায় তুমুল বিক্ষোভ বাসিন্দাদের, পণ্ড শিবির

জেলা

বৃহস্পতিবার মহেশতলার জালখুরায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘিরে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের।

দুয়ারে চোর! তৃণমূল কাউন্সিলরকে ঘিরে ‘চোর’ স্লোগান দিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল রাজ্য সরকারের ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘেরাও বিক্ষোভ থেকে তৃণমূলের ওই কাউন্সিলরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় মহেশতলা থানার পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্যাম্প। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলার জালখুরা এলাকায়। পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিকাশ ব্যানার্জিকে ক্যাম্পে দেখেই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। 
শুধু মহেশতলা পৌরসভাই নয়, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভা থেকে দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলার প্রত্যন্তে কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর অঞ্চল। সর্বত্রই পাড়ায় সমাধান ক্যাম্পে এলাকার অনুন্নয়ন, তোলাবাজি, লুট, চুরির প্রতিবাদে মানুষ শাসক দলের দুর্নীতিগ্রস্ত কাউন্সিলর থেকে জেলা পরিষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২৫নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য সোনালি রায়কে বয়কট করেছেন তাঁর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পরবর্তী সময়ে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির কোনও ক্যাম্পে বিক্ষোভের আশঙ্কায় তাঁকে আর দেখা যায়নি। 
কাকদ্বীপের মধূসুদনপুর অঞ্চল। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য রীনা দাস ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ ক্যাম্পে যাওয়ার পথে মানুষের বিক্ষোভে মুখে পড়েন। এমনকি, কাকদ্বীপের বিডিও পর্যন্ত ক্যাম্পে গিয়ে মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। 
এদিন মহেশতলার জালখুরা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্প শুরু হয়। তৃণমূল কাউন্সিলর বিকাশ ব্যানার্জিকে ক্যাম্পে দেখেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে ঘিরে ‘চোর’ স্লোগান ওঠে। ‘দুয়ারে চোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত এলাকার মানুষজন। এলাকার সমস্যা ও অনুন্নয়ন নিয়ে কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসা করায় বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। শেষপর্যন্ত মহেশতলা থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় সরকারি ক্যাম্প। 
বিক্ষোভকারী স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, গত প্রায় ৫ বছর ধরে ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে রয়েছে। বেহাল জলনিকাশি ব্যবস্থা। পৌরসভার তরফে নিকাশি পরিষ্কার করা হয় না।  নিজেরা পকেটের টাকা দিয়ে নিকাশি পরিষ্কার করেন। এলাকায় তোলাবাজি চলছে। পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। অথচ কাউন্সিলরের মদতে অবাধে পুকুর ভরাট, প্রোমোটারি চলছে। এলাকার নাগরিকদের স্বার্থে কোনও কাজ করে না এই চোর লুটেরা কাউন্সিলর। দুর্বিষহ জীবন যন্ত্রণা নাগরিকদের। নোংরা জমা জলে যাতায়াত করতে হয়। অথচ পৌরসভা ও কাউন্সিলরের এনিয়ে কোনও হেলদোল নেই।  
বিক্ষোভকারী মানুষদের সাফ কথা, এরকম আখের গোছানো চোর কাউন্সিলরের দরকার নেই। তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শাসক দলের কাউন্সিলর থেকে পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্য লুটেরাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন ঐক্যবদ্ধ সাধারণ মানুষ।  

মন্তব্যসমূহ :0

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন