চীনের ওপর বাড়তি ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করল আমেরিকা। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা করেছেন।
ঠিক কী কারণে চীনের সঙ্গে নতুন পর্বে এই বৈরিতা তা খোলসা করেননি ট্রাম্প। বরং গত মাসে তিনিই জানিয়েছিলেন যে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিঙের সঙ্গে বসবেন আলোচনায়। চীন ভুট্টা এবং সয়াবিনের মতো ফসল না কেনায় আমেরিকার কৃষকদেরই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, স্বীকারও করেছিলেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘চীন যেভাবে আগ্রাসনের পথ নিয়েছে তা অস্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পক্ষে তা বিপজ্জনক।’’
ট্রাম্প জানিয়েছে ১ নভেম্বর থেকে চীনের ওপর বসানো নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। তবে চীন আরও আক্রমণাত্মক হলে এগিয়ে আনা হবে তারিখ।
একাংশের অনুমান, আমেরিকাকে বিরল খনিজের রপ্তানিতে কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে চীন। সে কারণে শি-কে চাপে রাখতে চাইছেন ট্রাম্প। ৩১ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কেঅপারেশন শীর্ষ বৈঠক। সেখানেই শি-ট্রাম্প বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এদিন আমেরিকা ফের সংঘাতের রাস্তা নেওয়ায় সেই বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিশ্বে বিরল খনিজের ৭০ শতাংশ রপ্তানি করে চীন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য এই খনিজ জরুরি। বিশেষ করে, অটোমোবাইল এবং সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের এই খনিজ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা শিল্পেও এই খনিজ অত্যন্ত জরুরি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়ার পর শুরু করেছেন শুল্ক যুদ্ধ। আমেরিকা একেকটি দেশকে বেছে একতরফা আমদানি শুল্ক চাপাচ্ছে। আক্রমণে লক্ষ্য গোড়াতেই করা হয় চীনকে। পালটা শুল্ক চাপায় চীনও। আমেরিকার থেকে কৃষিপণ্য আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে চীনে। তার জন্য সমস্যায় পড়েছে আমেরিকার কৃষি।
গত বছর আমেরিকার থেকে ১২.৫ বিলিয়ন ডলার বা ১১ হাজার কোটি টাকা অর্থমূল্যের সয়াবিন আমদানি করেছিল চীন। বস্তুর আমেরিকার সয়াচাষীদের বড় ভরসা চীনই। আমেরিকা এখন ক্ষুব্ধ কৃষকদের বলছে যে তাঁদের জন্য সঙ্কটমুক্তির প্যাকেজ ঘোষণা করবে সরকার।
কিন্তু কৃষকদের পাশাপাশি ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকার ছোট-মাঝারি ব্যবসাও। কারণ চীনের থেকে কাঁচামাল বা উপকরণ আমদানির ভরসাতেই টিকে থেকেছে এই ব্যবসা। শুল্ক চেপে যাওয়ায় আমেরিকার এই সংস্থাগুলিরই উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়েছে। ফলে তাদের সহায়তার দাবিও উঠেছে।
Trump China
আরও ১০০% শুল্ক, চীনের সঙ্গে নতুন দফায় সংঘাতে ট্রাম্প

×
Comments :0