Gaza Children

গাজা গণহত্যায় শিশুমনে গভীর প্রভাবের শঙ্কা রাষ্ট্রসঙ্ঘের, হামলা ফ্লোটিলায়

আন্তর্জাতিক

গাজায় তিনদিন ধরে চলছে সংঘর্ষ বিরতির আলোচনা। মিশরে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিচ্ছে ইজরায়েল এবং হামাস। সেই সঙ্গে গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। বুধবারও গাজা সিটি কেঁপে উঠেছে বোমার আওয়াজে।
প্যালেস্তাইনে উদ্বাস্তু পুনর্বাসন সংক্রান্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর মধ্যে শিশুদের ওপর গণহত্যার মারাত্মক প্রভাব জানিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে।
এদিনই গাজায় ত্রাণবাহী ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ জানিয়েছে যে তাদের একাধিক জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েল। 
এই জাহাজে রয়েছেন ৯৩ জন সাংবাদিক, চিকিৎসক এবং সংহতি কর্মী। এর আগেও ফ্রিডম ফ্লোটিলার তিনটি ছোট জলযানকে আটকে দিয়েছিল ইজরায়েল।
সংহতি আন্দোলন বলছে, ত্রাণ নিয়ে বা খাদ্য এবং ওষুধবাহী জলযানের ওপর হামলা চালানো আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধে। কিন্তু ইজরায়েল কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সংহতি কর্মীদের জোর করে দেশে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে। 
ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রকের সাফাইয়ে বলেছে, গাজায় ঢোকার মুখে জলভাগে নৌবাহিনী মোতায়েন হয়েছিল আগেই। তাকে এড়িয়ে যেতে চাইছিল ফ্লোটিলা। 
এদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থার রিপোর্ট বলছে গাজায় ৯০ শতাংশ আশ্রয়হীন। ভয়াবহ হিংসায় আহত এবং নিহতরাই কেবল আক্রান্ত নয়। যে শিশুরা এই ভয়াবহ হিংসার সাক্ষী তাদের মধ্যে এই প্রভাব চিরস্থায়ী। এমনকি ত্রাস এবং শঙ্কাজনিত শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন প্রভাব ফেলতে পারে পরের প্রজন্মে। 
উইএনআরডব্লিউএ’র মুখপাত্র আদনান আবু হাসনা বলেছেন, গাজা সিটিতে সবচেয়ে বেশি, কিন্তু পুরো গাজায় এখন ক্ষুধার রাজত্ব। অন্তত ৫ লক্ষ মানুষ চরম খিদে নিয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে শিশুরা। নেই জল, নেই বিদ্যুৎ, নেই নিকাশি ব্যবস্থা। গাজার ৩৬টি হাসাপাতলের মাত্র ১৪টি কোনও রকমে টিকে রয়েছে। এই আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা এবং যন্ত্রণা শিশুদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলছে।

Comments :0

Login to leave a comment