Operation Sindoor LS

দাবি রাহুলেরও, ট্রাম্পকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলতে পারলেন না মোদী

জাতীয়

ছবি লোকসভা টিভি থেকে।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতিকে মিথ্যাবাদী বলবেন কী প্রধানমন্ত্রী? ভারতের পক্ষ নিয়ে বিশ্বের অন্য কোনও দেশ পাকিস্তানের নিন্দা করল না কেন? কেন কেবল পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলাতেই সীমাবদ্ধ ছিল নিন্দা?
বিরোধীদের পক্ষে এই প্রশ্নই তুলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ ভাষণে গরম গরম দাবি থাকলেও নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর রইল না।
বরং মোদী বললেন যে আমেরিকা সশস্ত্র সংঘর্ষ বন্ধ করার কথা বলেইনি। ভারতের ঘোষিত লক্ষ্য ছিল উত্তেজনা না বাড়ানো। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই অবস্থান অনুযায়ী।
উল্লেখ্য, সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা সবার আগে করেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোানল্ড ট্রাম্প। মে থেকে টানা বলে চলেছেন যে তাঁর হুমকিতে পড়শি দুই দেশ সংঘর্ষ বিরতি করেছে। 
লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী বিজেপি-কে আক্রমণ করেন সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্তের জন্য। সেনাকে স্বাধীনতা না দেওয়ার অভিযোগেও সরব হন রাহুল। তিনি বলেন, বাঘকে বেঁধে রাখতে নেই। ছেড়ে দিতে হয়। 
রাহুল ১৯৭১’র প্রসঙ্গ টেনে বলেন যে সে সময়ে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পিছু হটেননি। আমেরিকা সেভেনথ ফ্লিট পাঠালেও পরোয়া করেননি। 
রাহুল বলেন, সেনাকে নিজের ভাবমূর্তির জন্য ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। 
সোমবার রাজনাথ সিং ‘অপারেশন সিন্দুর’ প্রসঙ্গে জানান যে রাত ১.০৫-এ শুরু হয়ে ২২ মিনিট চলে। ১.৩৫ মিনিটে পাকিস্তানকে বলা হয় অসামরিক লক্ষ্যে আঘাত করা হয়েছে। বলা হয়েছে আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাই না। ডিজিএমও-কে বলা হয় সংঘর্ষ বিরতি চাইতে। 
রাহুলের অভিযোগ, ভারত গোড়াতেই পিছিয়ে আসার বার্তা দিয়েছে। বিমানবাহিনীকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি বলেই যুদ্ধবিমান আক্রান্ত হয়েছে। 
মোদী জবাবে নেমে কংগ্রেসকে ‘দেশবিরোধী’ দেখানোর পুরনো কৌশলেই ফিরতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, সারা বিশ্ব অপারেশন সিন্দুরকে সমর্থন করছে। কিন্তু দেশে কংগ্রেস করেনি। আমাকে নিয়ে মজা করেছে। পাকিস্তানের প্রচারকে দেশে ছড়িয়েছে। 
লোকসভায় মোদীর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধীরা।

Comments :0

Login to leave a comment