Accident

পথ দুর্ঘটনায় গুড়াপে মৃত্যু উত্তরপ্রদেশের দর্শনার্থীর

জেলা

ঘুমিয়ে পরেছিল চালক! চারধাম যাত্রায় বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে উত্তরপ্রদেশের দর্শনার্থী বোঝাই একটি বাস। দেওঘর হয়ে গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে হুগলির গুড়াপে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি লরির পেছনে ধাক্কা মারে বাসটি। ঘটনায় ত্রিশ জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহত ২১ জনকে তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের নাম রামদেওয়া মিশ্র (৪৫) তিনি বলরামপুরের কাটরায় বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৬ জন দর্শনার্থী  নিয়ে উত্তরপ্রদেশের একটি বাস দেওঘর থেকে মঙ্গলবার রাতে রওনা দেয় গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে বুধবার  ভোরবেলায় গুড়াপের বশিপুরে একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসের স্পিড বেশি থাকায় লরিটিকে বেশ কিছু দুর ঠেলে নিয়ে যায় বাস। ঘটনায় বাসের সামনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গুরাপ থানার পুলিশ। বাসে থাকা দর্শনার্থীদের উদ্ধার করে। বাসের ভেতর থাকা ৫৬ জনের মধ্যে অনেকেই আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। বাকি দর্শনার্থীদের সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় কমিউনিটি হলে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। 
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সী জানান ভোর চারটে নাগাদ উত্তরপ্রদেশ থেকে একটি বাস দূর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে উপর দিয়ে যাচ্ছিল। গঙ্গা সাগরের দর্শনার্থী এরা। সেই সময় গুড়াপের বসিপুর এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি চলন্ত লরিতে ধাক্কা মারে, এতেই আহত হয় ১২ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতদের বর্ধমান মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওখানেই একজন মারা যান। বাকিদের চিকিৎসা চলেছে। অন্যান্য দর্শনার্থীদের গুড়াপ থানার কাছে একটি কমিউনিটি হলে রাখা হয়েছে। তাদের সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য বাস এলে তাদের তুলে দেওয়া হবে।

Comments :0

Login to leave a comment