দলের একাংশ নিয়োগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত, যুক্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিও। সব জেলেও চুপ দলীয় নেতৃত্ব। তাই মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান ধরে ওঠবস করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি।
নিজের এই ‘ক্ষমা চাওয়ার’ ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যে সমস্ত নেতা টাকা নেওয়ার পরেও মুখ খুলছেন না এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুবাবু যে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন, তার একমাত্র কারণ আমাদের নেতৃত্বের মুখ না খোলা। তাঁদের হয়ে মানুষের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। উল্লেখ্য এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চাপে রয়েছে তৃণমূল। টাকার বিনিময় চাকরি বিক্রি করেছে শাসক দল।
তৃণমূল কাউন্সিলর দাবি করছেন ২০১৬ সালের পর থেকে ওই জেলায় তৃণমূলের একচ্ছত্র নেতা যিনি ছিলেন তার নেতৃত্বে বিক্রি হয়েছিল চাকরি। বিজেপিতে যোগদানের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের মূল চালিকা শক্তি ছিল অধিকারি পরিবার। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারি। তমলুক পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর যে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতাকেই নিশানা করছেন একথা বুঝতে কোন অসুবিধা নেই।
এসএসসির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে দাগি অযোগ্যদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে একাধিক তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের নাম আছে বলে জানা যাচ্ছে। এই সবের মধ্যে এই ভিডিও নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে। জল্পনা এটাই কাকে আড়াল করছে তৃণমূল?
রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওই জেলায় একাধিক দুর্নীতি সামনে এসেছে। বিরোধীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে তার প্রতিবাদ করলে। নারদায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দুকে তারপরও ২০১৬ সালে তাকে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। হয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী। এখন বিজেপিতে যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে কোন তদন্ত হচ্ছে না।
TMC
‘মাস্টারমাইন্ড’কে আড়াল করছে দল, অপরাধ বোধ থেকে ওঠবস করলেন কাউন্সিলর

×
Comments :0