বইকথা
‘ হাওয়ার দাঁড়ি ’ শিশু-কিশোর পর্বের এক স্বপ্নিল আখ্যান
সৌরভ দত্ত
লীলা মজুমদার শৈশবের এক অনন্য কথামালার দ্রষ্টা।তাঁর হাওয়ার দাঁড়ি সঙ্কলনে অন্তভূর্ক্ত হয়েছে একটি বড় গল্প ও একটি ঘুড়ি নামের ছোটগল্প।দুটি গল্পের মধ্যে রয়েছে অদ্ভুত মিল।হাওয়ার দাঁড়ি গল্পে দেখা যা–“মংলু ,মুংরি,বুনো,মাধো , চম্পা,টেমিং ,গুঁপো , ল্যাংড়া এরা সবাই বনের মানুষ ”--গল্পের মধ্যে পাঠকদের কৌতুহলী করা লেখিকার প্রধান উদ্দেশ্য।“বড়গাঁওয়ের হাটে সবাই বদলা দিয়ে জিনিস কেনে।আনারস দিয়ে আলু ; মুরগির ডিম দিম দিয়ে রান্নার তেল ;গতর খেটে খেটোর দাম শোধে”--গল্পচিত্রের মধ্যে ধরা পড়ে সীমাহীন দারিদ্র্যতার ছবি।“মৌ গাছের তলায় বেঁটেদের একটা ছোট ছানা পড়ে কাঁদছে করে এত বড়টা করে তুলেছে,সে-বলে ‘ও-কথা বলিসনে বাপ!”আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে গোটা গল্প জুড়ে–“বুড়ো গাছ নিশ্বাস ফেলে বলল,‘তার চেয়ে ও বড় কথা বনের নতুন চারাগুলো সব মরে গেছে!”হাওয়ার দাঁড়ি গল্পে দেখা যায় –“যে যার যথাস্থানে যাবার আগে অন্য হাঙ্গামা চুলকে ,বন-দেবতার মস্ত উৎসব হল।”ঘুড়ি গল্পটির বিস্তার শুরু হচ্ছে অদ্ভুত ভাবে –পুরনো এক ঝড়
ঝড়ে বাড়ি । তার মধ্যে পানু আর পানুর কাঠ খোদাই -, আসবাব মেরামতির ব্যবসা আর পানুর সাতটা অনাথ ছেলে। এদের কেউ ভেসে এসেছে বানের জলে,কেউ বা পথ থেকে কুড়িয়ে আনা।গল্প জুড়ে রয়েছে স্বপ্নের আখ্যান।
গ্রন্থ –হাওয়ার দাঁড়ি
লেখিকা–লীলা মজুমদার
প্রচ্ছদ-গণেশ বসু
প্রকাশনা–ঋতম
Comments :0