দীপশুভ্র সান্যাল
শ্রমিকদের মজুরির অংশ হিসেবে জমানোর টাকা সঙ্গে বাগান কর্তৃপক্ষের দেওয়া অর্থ অবসর গ্রহণের সময় হাতে প্রভিডেন্ট ফান্ড হিসাবে পাওয়ার কথা শ্রমিকদের। অথচ শ্রমিকরা ২০১১ সাল থেকে পাচ্ছেন না জমানো পিএফের টাকা। জলপাইগুড়ি পিএফ কমিশনার অফিসে স্বারক লিপি প্রদান করে অভিযোগ জানাল চা বাগান মজদুর ইউনিয়ন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা শহরে অবস্থিত রিজিওনাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনারের কার্যালয়ে বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার দাবী জানাতে আলিপুরদুয়ার জেলার রহিমা বাদ চা বাগানের শ্রমিকেরা দেখা করেন পিএফ কমিশনার ২ এর সঙ্গে। সুদূর আলিপুরদুয়ারের রহিমাবাদ চা বাগান থেকে এতটা পথ পাড়ি দিয়ে পিএফ অফিসে আসার কারণ প্রসঙ্গে ২০০৮ সালে অবসর প্রাপ্ত চা বাগান শ্রমিক তথা সি আই টি ইউ অনুমোদিত আলিপুরদুয়ার কোচবিহার চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের নেতৃত্ব আব্দুস সাত্তার জানান, "২০১১ থেকে ২০১৪ এই চার বছরের পি এফ টাকা পাচ্ছেন না প্রায় ২০০ জন শ্রমিক, কারন মালিক প্রথমে পিএফের টাকা সময় মতো জমা দেয়নি। দীর্ঘ আন্দোলনের পর বাগান কর্তৃপক্ষ টাকা সুদ সমেত পিএফ অফিসে জমা করলেও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চা বাগান ইউনিয়নের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদান করতে আসা চা শ্রমিকদের অভিযোগ প্রসঙ্গে কমিশনার ২ জানান বাগান কর্তৃপক্ষ টাকা জমা দিলেও কোন শ্রমিক কত টাকা জমা করছেন সেই হিসাবটা দেননি সেই কারণে আমরা শ্রমিকদের প্রাপ্য অর্থ বুঝিয়ে দিতে পারছিনা। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করে শ্রমিকদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে। স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন আলিপুরদুয়ার কোচবিহার চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিদুৎ গুন, চা শ্রমিক নেতা আব্দুস সাত্তার, জলপাইগুড়ি র শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্ব কৃষ্ণ সেন সহ অন্যান্য শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ :0