কসবা কান্ডে অভিযুক্তদের মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এদিন মনোজিৎ মিশ্র সহ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে আদালতে পেশ করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। সেখানে তাদের হেপাজতের আবেদন জানানো হলে মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাউথ কলকাতা ল’কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের তিনজন কর্মীর বিরুদ্ধে। যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মধ্যে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ ওই কলেজের টিএমসিপি ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে কলেজের অস্থায়ী কর্মী এবং সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। জানা যাচ্ছে কলেজের গভার্নিং বডির অনুমোদনেই তার এই চাকরি হয়েছে।
অভিযোগ গত বুধবার রাতে নির্যাতীতাকে মনোজিৎ এবং বাকি দুই অভিযুক্ত ইউনিয়ন রুমে যৌন হেনস্তা করে। তারপর তাকে গার্ড রুমে নিয়ে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। নির্যাতীতাতে তাতে রাজি না হলে তখন তিনজন তাকে গণধর্ষণ করে এবং গোটা বিষয়টা ভিডিও করে। হুমকি দেয় কোথাও জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। গতকাল নির্যাতীতা কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গতকাল রাতেই আটক করে কসবা থানা। হয়েছে নির্যাতীতার শারিরীক পরীক্ষাও।
এদিন আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন যে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে কলেজের রাজনীতির কারণে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সেই ভাবে কোন প্রমান নেই।
উল্লেখ্য রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় বন্ধ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ছাত্র সংসদ নেই কিন্তু ছাত্র সংসদ গুলোকে দখল করে সেই গুলোকে ব্যবহার করে একের পর এক অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। কলকাতার বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় টাকা নেওয়া বা অন্য কোন অনৈতিক কাজ সব কিছুতে অভিযুক্ত তৃণমুল ছাত্র পরিষদ। রাজ্য সরকার প্রতিবছর বলে আসছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন দিন তারা ঘোষণা করতে পারছে না। ছাত্র ছাত্রীদের যেই অধিকার একটা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ পাওয়ার সেখান থেকে তার বঞ্চিত থাকছে। আর এই সুযোগে কলেজ ক্যাম্পাস গুলোকে গুন্ডাদের আঁখড়ায় পরিনত করছে তৃণমূল।
Kasba Rape
কসবা কান্ডে অভিযুক্তদের মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশি হেপাজত

×
Comments :0