রিঙ্কি দাস
উত্তর প্রদেশের বুকে ১৩-১৪ বছরের স্কুল ছাত্রদেরও সাম্প্রদায়িক আগ্রাসী করে তোলা হচ্ছে, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে হিংসাশ্রয়ী হয়ে ওঠা শেখানো হচ্ছে। কেরালার কোঝিকোড়ে এসএফআই’র ১৮তম সর্বভারতীয় সম্মেলনে সংগঠনের উত্তর প্রদেশের রাজ্য সম্পাদক আব্দুল বাহাব যখন এরই ভয়ানক বিবরণ দিচ্ছিলেন তখন সবাই বিচলিত বোধ করছিলেন। লক্ষ্মৌর বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করে বর্তমানে এখন দিল্লির আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন বাহাব। শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘হাইজ্যাক’ করে একটা নতুন প্রজন্মকে আরএসএস-বিজেপি’র সৈনিক গড়ে তোলা হচ্ছে কীভাবে তার উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
শুধু উত্তর প্রদেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরাই নয়, সম্মেলনে আগত বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরাই এরকম সাম্প্রদায়িক বিপদের ছবি তুলে ধরেছেন। গোটা সম্মেলনে আলোচনার মূল কেন্দ্রে ছিল কর্পোরেট হিন্দুত্বের কথা, বৃহৎ পুঁজির স্বার্থরক্ষা আর হিন্দুত্বের নামে বিজেপি আরএসএস’র মনুবাদী, ব্রাহ্মণ্যবাদী পিতৃতান্ত্রিকতাকে প্রতিষ্ঠা করার মরিয়া চেষ্টায় শিক্ষার ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ এবং তা প্রতিহত করতে এসএফআই’র ক্রমাগত অকুতোভয় লড়াইয়ের কথা। দেশের সংবিধানকে আক্রমণ করছে কেন্দ্রের শাসক দল, সংবিধানের মৌলিক চরিত্র বদল করে এককেন্দ্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। এসএফআই’র লড়াই এই নয়া ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে। সংবিধান রক্ষার লড়াইয়ের শপথ উচ্চারিত হয়েছে সম্মেলনে, গর্জে উঠেছে কেরালার কোঝিকোড়ের সমুদ্র সৈকতের সমাবেশ।
সম্মেলনে এসএফআই’র প্রতিনিধিরা বলেছেন, শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকীকরণের মধ্য দিয়ে যে বয়সে একজন ব্যক্তির মধ্যে চিন্তার বিকাশ ঘটে, সমাজবোধ গঠিত হয়, ঠিক সেই সময় থেকেই তাদের চিন্তাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে আরএসএস। একজন শিশু শেখে তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে, পাঠ্যবই থেকে। তাই সবার আগে সেখানেই হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় শিক্ষানীতির ২০২০ -এর নামে যে নীতি সরকার এনেছে, যেখানে সরকারি শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ, সাম্প্রদায়িকীকরণ এবং প্রান্তিক অংশকে শিক্ষা থেকে আরও দূরে ঠেলে দেবার পথ প্রশস্ত করছে। এই শিক্ষানীতিতে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করা হয়েছে। স্কুলের পাঠ্যসূচিতে যা পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতে শিক্ষার্থীকে আরও অবৈজ্ঞানিক করে তুলবে। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ডারউইনের বিবর্তনবাদ। পরিবর্তে উচ্চশিক্ষায় ঢোকানো হচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা এবং ধর্মাচারের পাঠ। ইতিহাসকে বিকৃত করে চলেছে নিরন্তর। শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় বসিয়ে রাখা হচ্ছে আরএসএস’র অনুগামীদের। সমস্ত বিরোধী রাজ্যে রাজ্যপালের পদে রাখা হচ্ছে নিজেদের লোক, যাকে ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারবে অথবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। বেশিরভাগ বিরোধী রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উপাচার্য নেই, শিক্ষাখাতে ব্যয় করছে না, অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম। মোদীর ‘মন কি বাত’, ‘জি-টোয়েন্টি’ অথবা অমৃত মহোৎসবের মতো সরকারি অনুষ্ঠানের প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
প্রাচীন বন্দর শহর কোঝিকোড়, অতীতের কালিকট। এই শহর ঐতিহ্য বয়ে চলেছে দেশের বৈচিত্রের, ঐক্যের এবং দীর্ঘ বামপন্থী আন্দোলনের। ছাত্র থেকে কৃষক-শ্রমজীবী সকল অংশের আন্দোলনের সাক্ষী এই শহর ফের দেখল শ্বেত পতাকা হাতে তরুণদের উদ্দীপনা। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইয়ের ঐতিহ্যকে পাথেয় করে বর্তমানের নয়া ফাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আরও শক্তিশালী করতে, সকলের শিক্ষা ও সকলের জন্য কাজের দাবিতে বিজেপি আরএসএস’র বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এসএফআই’র সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো কোঝিকোড়ে গত ২৭ জুন থেকে ৩০ জুন। সম্মেলন উপলক্ষে ছাত্ররা স্মরণ করেন ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া কর্মীদের। এসএফআই’র সর্বভারতীয় সহসম্পাদক ছিলেন বীর শহীদ কমরেড কেভি সুধীশ। ১৯৯৪ সালের তাঁর মা বাবার চোখের সামনে কুপিয়ে খুন করে আরএসএস’র দুষ্কৃতীবাহিনী। সাম্রাজ্যবাদী স্বৈরাচারী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইতে ইসলামিক মৌলবাদী শক্তির হাতে প্রাণ দিয়েছেন এর্নাকুলামের কমরেড অভিমন্যুর। ধনীদের জন্য আনা ইউডিএফ’র শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হন পাঁচজন ছাত্র-যুব নেতা। দলিত ছাত্রনেতা সোমু এবং সিম্বু অন্যায়ের প্রতিবাদের সাহস দেখিয়েছিলেন বলে প্রাণ হারিয়েছেন। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি এবং কেরালার পর্যটন মন্ত্রী পিএ মহম্মদ রিয়াজ শহীদ পতাকা উত্তোলন করেন, প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই সব রাজ্যের ছাত্র প্রতিনিধিরা মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলে শহীদদের ‘লাল সেলাম’জানান। প্যালেস্তাইন সলিডারিটি নগরে সীতারাম ইয়েচুরি এবং নেপালদেব ভট্টাচার্য মঞ্চে সারা দেশের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলন চলে। সাংবাদিক শশীকুমার এবং নাট্য পরিচালক ও অভিনেতা এম কে রায়না সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে উগ্র দক্ষিণপন্থা মাথা তুলে মানুষের অধিকারকে নস্যাৎ করতে চাইছে। বামপন্থীরা তার বিরুদ্ধে সোচ্চার। ভারতের বুকেও হিন্দুত্ববাদের নাম করে হিন্দু ধর্ম এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে অপমান করে মিডিয়াকে ব্যবহার করে হিন্দুত্ববাদের প্রচার চলছে। এর প্রতিরোধে ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তাঁরা।
এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন এসএফআই’র প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ ও বর্তমানের বাম আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এসএফআই’র গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের পথ ধরে আগামী দিনের লড়াইয়ের জন্য উৎসাহ দেন তাঁরা। জাতি ধর্ম বর্ণ রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে ছাত্রদের ঐক্য গড়ে তোলার উপদেশ দেন তাঁরা।
সম্মেলনে উঠেছে এসেছে ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের কথা, অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্যও অর্জন করছে সংগঠন। পণ্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়, হাদরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লির আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে এসএফআই জয় লাভ করেছে সম্প্রতি। আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়ী হওয়ার পর থেকে এসফআই’র ওপরে একাধিকবার আক্রমণ করা হয়। সাসপেন্ড করা নির্বাচিত ইউনিয়নের সদস্যদেরও। জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া, হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নানা বিশ্ববিদ্যালয়েও আক্রমণের ঘটনা ঘটে। তা সত্ত্বেও পালটা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এসএফআই। হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০০ একর বনাঞ্চলকে নষ্ট করতে চেয়েছিল তেলেঙ্গানা সরকার। তার বিরুদ্ধে এসএফআই আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়। কিন্ত অবশেষে সুপ্রিমকোর্ট তেলেঙ্গানা সরকারকে বাধা দেয় এবং বনাঞ্চল রক্ষা পায়। বিদায়ী সম্পাদকের পেশ করা খসড়া প্রতিবেদনে আগামীদিনের লড়াইয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেওয়া হয়। সংগঠনের পরিধি আরও বিস্তারিত করতে এবং শক্তিবৃদ্ধি করতে নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা বোঝা, তাদের সমস্যাকে বোঝা এবং তার সমাধানের জন্য যোগাযোগ বাড়ানোর কথা বলা হয়। দলিত আদিবাসী পড়ুয়াদের প্রতি জাতিগত বৈষম্যের এবং বঞ্চনার, এলজিবিটিকিউ পড়ুয়াদের প্রতি ভিন্ন এবং নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অবসানের, বঞ্চিত প্রান্তিক পরিবারের পড়ুয়াদের অধিকারের জন্য লড়াইয়ের দাবি ওঠে সম্মেলনে।
সম্মেলনে দাবি ওঠে গুজরাট মডেলের পরিবর্তে প্রত্যেক রাজ্যে কেরালা মডেল প্রয়োগ করার। মোদীর গুজরাট থেকে বামপন্থী গ্রাম প্রধান এসএফআই নেত্রী সত্যাশা লেউবা উপস্থিত ছিলেন এবং উল্লেখ করেছেন মোদীর গুজরাট মডেলে শিক্ষার বেহাল দশার। কেরালার স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, বিকল্প শিক্ষাব্যাবস্থা দেখে অভিভূত সত্যাশা। সম্মেলনে ২৬টি রাজ্যের পাশাপাশি ইউকে ও আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। ১৯২ জন দর্শক সহ মোট ৭৯২জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। গত তিন বছরে ৪.৬৮ লক্ষ শিক্ষার্থী এসএফআই’তে যোগ দিয়েছে। ২০২২ সালে, যখন শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তখন সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৭.৫৮ লক্ষ। তিন বছর পরে সংখ্যা বেড়ে ৪২.২৭ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্রী সদস্যপদেরও অগ্রগতি ঘটেছে বলে জানানো হয়। মোট সাত ঘণ্টার অধিক সময় ধরে ৮২ জন প্রতিনিধি বিদায়ী সম্পাদকের পেশ করা রিপোর্টের ওপর আলোচনা করেন।
আলোচনা শেষে বিভাজনকামী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে বিকল্প শিক্ষানীতিকে হাতিয়ার করেই সকলের জন্য শিক্ষার অধিকার ছিনিয়ে আনার প্রত্যয় গ্রহণ করে এসএফআই। আরএসএস বিজেপি’র দৌলতে শিক্ষা ক্রমশ পুঁজিপতিদের মুনাফা জোগাবার পণ্যে রূপান্তরিত হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষা সার্বজনীন নয়, কেবল সমাজের একটি শ্রেণির দখলে। তাই সম্মেলন থেকে সকলের জন্য শিক্ষা এবং সকলের জন্য কাজের দাবিকে আদায় করতে আন্দোলনকে আরও তীব্র করার ডাক দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বিজেপি-আরএসএস’র দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আন্দোলনকে আরও তীব্র করার ডাক দেওয়া হয়েছে। সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সৃজন ভট্টাচার্যকে সাধারণ সম্পাদক এবং কেরালার আদর্শ এম সাজিকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
কোঝিকোড়ের সৈকতে কেভি সুধীশ নগরে ছাত্র সমাবেশ এবং জনসভা হয় সম্মেলনের শেষদিনে। জনসভার কেরালার মুখমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, আরএসএস’র নয়া শিক্ষানীতিকে প্রতিহত করতে এসএফআই’কে সাম্প্রদায়িকতা এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সৃজন ভট্টাচার্য এই সম্মেলনকে ভবিষ্যতের, আশার, ‘কমিউনাল-কর্পোরেট আঁতাতের’ হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার সম্মেলন হিসাবে চিহ্নিত করে বলেন, গোটা দেশ জুড়ে লিঙ্গ জাতি বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবার অধিকার আক্রান্ত। ঠিক তার বিপরীতে রয়েছে কেরালা। মোদী সরকার তার সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করলেও এই কেরালাকে জয় করতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রীর পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে কেরালার বাম বিকল্পকে গোটা দেশে বিস্তার করতে হবে। কারণ ‘‘কেরালা কেবল রাজ্য নয় এটা একটা আইডিয়া। আর এই আইডিয়া বুলেটপ্রুফ।
সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি সত্ত্বেও প্রকাশ্য সমাবেশের সভাস্থলের উপচে পড়া ভিড় তখন একপাশে রাস্তা পেরিয়েছে এবং অপরদিকে ছুঁয়েছে সমুদ্রের ঢেউ। সৈকতের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইদুক্কির পাইনাভের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যুব কংগ্রেস এবং কেএসইউএর দুষ্কৃতীবাহিনীর হাতে খুন হওয়া ধীরজের বাবা ও মা রাজেন্দ্রন এবং পুষ্কলা। এসএফআই সর্বভারতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভিড়ের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে নিজের সন্তান বলে সম্বোধন করেছেন তাঁরা। সভায় ‘স্টুডেন্ট স্ট্রাগল’ এর অতিরিক্ত পাতার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাত্র সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মেয়র বীণা ফিলিপ, রাজ্যের মন্ত্রী এবং সম্মেলনের অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান পিএ মহম্মদ রিয়াস, পলিট ব্যুরো সদস্য এবং প্রাক্তন এসএফআই সভাপতি অরুণ কুমার, জেলা সম্পাদক এবং অভ্যর্থনা কমিটির সদস্য এম মেহেবুব, রাজ্য সম্পাদক সঞ্জীব প্রমুখ নেতৃত্ব। নতুন লড়াইয়ের শপথ নিয়ে শেষ হয় এসএফআই’র ১৮ তম সর্ব্বভারতীয় সম্মেলন।
Comments :0