জিগির এবং বিদ্বেষ প্রচারের বিরোধিতা করে পোস্ট করার পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে। সেই অধ্যাপক ডঃ আলি খান মাহমুদাবাদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ জানালো শিক্ষক সংগঠন ডেমোক্র্যাটিক টিচার্স ফ্রন্ট (ডিটিএফ)। অধ্যাপকের মুক্তির দাবি তুলেছে এই সংগঠন।
রবিবার দিল্লির কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মঞ্চ ডেমোক্র্যাটিক টিচার্স ফ্রন্ট বলেছে, ভিন্নমতকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য আইনের অপব্যবহার চলছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২ ধারা প্রয়োগ করে দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং সংহতি বিপন্ন করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। অধ্যাপক মাহমুদাবাদ যদিও সোশাল মিডিয়া পোস্টে সমালোচনা করেছিলেন জাতীয়তাবাদের নামে উন্মত্ততার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাহমুদাবাদ সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এবং প্রান্তিক অংশগুলির সুরক্ষার কথা বলেছেন। সংবিধানের মূল্যবোধ প্রতিফলিত করেছেন। যুদ্ধে মানবিক ক্ষয়ক্ষতির দিককে চিহ্নিত করেছেন। সংবিধানের ১৯.১.ক ধারা সেই অধিকার নাগরিকদের দিয়েছে। এমন সমালোচনাকে ‘দেশদ্রোহ’ আখ্যা দেওয়া আইনের চোখেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিজেপি’র এক নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে এই অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ আদালতের নির্দেশের আগে বিজেপি’র মধ্য প্রদেশ সরকার তাদের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি, যে মন্ত্রী সেনা আধিকারিক সোফিয়া কুরেশিকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের বোন’ বলেছেন। পহেলগামে নিহত নৌসেনা আধিকারিকের স্ত্রী হিমাংশী নরওয়াল কাশ্মীরী এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচারে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তারপর থেকে আরএসএস-বিজেপি’র অনুগামী উগ্র হিন্দুত্ববাদী বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় শ্লীল মন্তব্যের ঝড় বইয়ে দিয়েছে। সরকারের নির্দেশে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করার পর বিদেশ সচিব এবং তাঁর পরিবারকে ঘিরে নোংরা মন্তব্য এত জোরালো হয় যে তাঁকে বন্ধ রাখতে হয় সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। অথচ এ বেলায় বিজেপি’র কোনও সরকার কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। অবস্থানের এই দ্বিচারিতাও দেশের সামনে বেরিয়ে পড়েছে।
ডিটিএফ বলেছে, সরকারের সমর্থক এবং সরকারে আসীন দলের কর্মীরা যখন বিদ্বেষ প্রচারের ঝড় বইয়ে দিচ্ছে তখন কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
Professor Arrested
উন্মত্ততার বিরোধিতা করায় গ্রেপ্তার অধ্যাপককে, প্রতিবাদ

×
Comments :0