Baduria

বাদুড়িয়ার লবঙ্গ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার ২২ রোহিঙ্গা

জেলা

সুদূর হায়দ্রাবাদ থেকে এসে সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্মীয়মান একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। উদ্দেশ্য ছিল চোরাপথে বাংলাদেশে ঢোকার। অবশেষে বাদুড়িয়া থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার শিশু সহ ২২ জন রোহিঙ্গা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তাঁরা মায়ানমারের বাসিন্দা। হায়দরাবাদ থেকে এখানে এসেছেন। এখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার কথা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এই রোহিঙ্গাদের ভারতে আসা এবং তাদের বসবাস নিয়ে বিস্তর আলোচনা যা আজও হয়। ইডির হেফাজতে থাকা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের আশ্রয়ে মায়ানমার থেকে আসা বহু রোগিঙ্গাদের র্বতমানে বসবাস সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্তে। অভিযোগ আছে সরকারি খাসজমিতে তাদের পাকাপাকি বাসঘর তৈরি করে দেয় শেখ শাহজাহান। বাকিরা ছড়িয়ে পড়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। শুক্রবার ভোরে তাদেরই বেশ কয়েকজনের দেখা মিললো উত্তর ২৪পরগনার বাদুড়িয়া থানার শায়েস্তানগর -১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের লবঙ্গ গ্রামে। যাদের মধ্যে পুরুষ মহিলা ও কয়েকজন শিশু রয়েছে। একটি ফাঁকা বাড়িতে প্লাস্টিক পেতে বসে থাকতে দেখে গ্রামবাসীরা। অপিরিচিত হওয়ায় খোঁজ নিতেই চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীদের। জানতে পারে তাঁরা রোহিঙ্গা। এলাকার মানুষ তড়িঘড়ি খবর দেয় স্থানীয় থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। জানা যায়, গ্রামে আশ্রয় নেওয়া ওই নারী, পুরুষরা রোহিঙ্গা। অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিল। আবার অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য সীমান্তবর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম লবঙ্গ। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তারা। শিশু-সহ মোট ২২ জন ছিল। তার মধ্যে দু’জন গর্ভবতী। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২২ জনের মধ্যে ১১ জন প্রাপ্তবয়স্ক। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কবে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিল তারা? তাদের মধ্যে ধৃত মহম্মদ আলম, আবু তায়ের জানায়, আমরা মায়ানমারের বাসিন্দা। হায়দরাবাদ থেকে এখানে এসেছি। এখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে যেতাম। সেই শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার জন্য এখানেই এসেছিলাম। ফাঁকা বাড়ি দেখে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। কতদিন আগে তারা ভারতে এসেছে? প্রশ্ন শুনে চমকে দেওয়ার মতো উত্তর দিল আবু তায়ের। বললেন, ১০ বছর আগে ভারতে এসেছি। হায়দরাবাদে কাজ করতাম। কাগজ ও প্লাস্টিক ভাঙা কুড়োতাম। স্থানীয় বাসিন্দা  হাকিম শেখ বলেন, সকালে ওরা ঘোরাঘুরি করছিল। নির্মীয়মাণ ঘর দেখে সেখানে আশ্রয় নেয়। তা দেখেই প্রশাসনকে আমরা খবর দেই, এখান থেকে এদেরকে উদ্ধার করে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কাদের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসা এবং পুলিশ প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সুদূর হায়দ্রাবাদে পৌঁছে যাওয়া এবং সেখানে দীর্ঘ বছর কাটিয়ে ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সীমান্তে আসা কী ভাবে সম্ভব হলো? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।

Comments :0

Login to leave a comment