অন্যকথা / মুক্তধারা
ছিঁড়ে গেছে রথের রশি
কৃশানু ভট্টাচার্য্য
সমাজের পাড় ভাঙছে। বিশ্বাসের বাঁধ ভাঙছে।
এ সময় কোন রথ এগোবে? সে রথের রশি ধরে টানবে কে?
এ সময়ে পচা গন্ধ বের হচ্ছে সবসময়। বন্ধুত্ব আজ পোশাক - সুদৃশ্য কিন্তু বিশ্বস্ত নয়। মুদ্রার দু দিকে দুরকম ছবি আর বাস্তব? অজ্ঞাত অজস্র ছবির কোলাজ। যেখানে নেই আস্থা। প্রতিযোগিতার নেশা আঁটোসাঁটো করে বেঁধে রেখেছে সভ্যতার রথ। এ অস্থির সময়ে সভ্যতার রথ টানবে কে?
একদিকে বিত্তবানের উন্মত্ত দাপাদাপি আর অন্যদিকে অসহায়ের আর্তনাদ। জননীর আর্তনাদও কিনতে চায় বিত্ত। দু একবার পারে না। কিন্তু পারে অনেক বারই। এ সময় বিত্ত অচল সময়ের নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু রথের চাকা সরানোর কাজ সে করতে পারে না। বিত্তের দড়াদড়ি বড় জীর্ণ। তা দিয়ে মানুষ কেনা যায়, রথ টানা যায় না। আর তাই থমকে গেছে রথ। পুরনো পাথরের যুগ থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে এসে সে আজ দিশেহারা। কাকে বিশ্বাস করবে? মানবতা না যান্ত্রিক অভ্যাস? লজিক গেটে এ থেমে যাওয়া এ রথ সরাবে কে?
অতএব-
প্রতীক্ষা হোক নতুন সময়ের । মানুষ+ মানুষ= মানুষের শক্তি - এই সমীকরণ নতুন করে প্রমাণ করতে হবে। প্রমাণ হবে রাজপথে, কলকারখানায়, খেত খামারে, ঘরে বাইরে। নতুন প্রমাণ দেবে নতুন প্রজন্ম। জীর্ণ পৃথিবীর ব্যর্থ আর মৃত ধ্বংসস্তূপ পিঠে করে সরিয়ে নিতে হবে। তৈরি করতে হবে নতুন রাস্তা। আর সেই রাস্তা ধরেই এগিয়ে যাবে নতুন দিনের নতুন মানুষের হাতে টানা নতুন রথ।
Comments :0