Delhi Blast Center

দিল্লি বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী হামলাই বলল কেন্দ্র

জাতীয়

কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে দিল্লির বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে স্বীকৃতি দিল। সোমবার দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ঘটনার দু’দিন পর, বুধবার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সুরক্ষা বিষয়ক কমিটির বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করল যে লাল কেল্লার বাইরের বিস্ফোরণটি একটি সন্ত্রাসবাদী হামলা।
বুধবার সকালে ভুটান সফর থেকে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর তিনি এলএনজেপি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে দেখা করেন। এরপর তিনি ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করেন, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিকেলে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৫ সালের ১০ নভেম্বর দিল্লির লাল কেল্লার কাছে গাড়ি বোমা হামলায় নিহতদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দিল্লি বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী হামলার তকমা দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত সকল মন্ত্রী নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দুই মিনিট নীরবতা পালন করেন। মন্ত্রিসভা জানিয়েছে যে সরকার সন্ত্রাসবাদের বরদাস্থ করবে না, সেই নীতিতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো ধরণের সন্ত্রাসবাদ সহ্য করা হবে না। সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে এই বিষয়ে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। যাতে অপরাধী, তাদের সহযোগী এবং ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা যায়।
বৈঠকে সরকার জানিয়েছে যে এই ঘটনা দেশের শান্তি ও ঐক্যের উপর আক্রমণ। মন্ত্রিসভা তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দোষী, তাদের সহযোগী এবং পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার শূন্য-সহনশীলতা নীতি জানিয়েছে। এদিনের মন্ত্রিসভা সন্ত্রাসবাদী হামলাকে ‘‘কাপুরুষোচিত এবং নিন্দনীয়’’ বলে বর্ণনা করে জানিয়েছে যে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার শূন্য-সহনশীলতা নীতি বজায় রাখবে। সরকার নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সতর্ক থাকতে এবং সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
মন্ত্রিসভা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংহতি ও সমর্থনের বার্তার প্রশংসা করেছে। উল্লেখ করা হয়েছে যে, সঙ্কটের সময়ে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা ভারতের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে। সরকার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে এই ঘটনার সাথে জড়িত সকল সন্ত্রাসবাদী, তাদের সহযোগী এবং পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বস্ত করেছে যে জাতীয় নিরাপত্তা এবং নাগরিকদের সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসাবে রয়ে গেছে।

Comments :0

Login to leave a comment