দীর্ঘদিন ধরে চা শ্রমিকদের দাবিকে উপেক্ষা করে আসছে মালিক পক্ষ। কেন্দ্র রাজ্য দুই সরকার নীরবতা পালন করে কার্যত তাদের সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ডুয়ার্সের চা শ্রমিকরা সমবেত হয়ে জয়েন্ট ফোরামের ডাকে সভা করলেন। চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ফের পথে নেমে চা শ্রমিকদের সংগঠিত করে দাবিদাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখছেন। সোমবার বানারহাট ব্লকের মোগল কাটা চা বাগানের সভা করে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এদিন সকালে হলদিবাড়ি চুনাভাটি এবং চামুর্চি বাগানের গেটে সভা করা হয়। এই সভাগুলিতে চা শ্রমিক নেতৃত্ব তিলক ছেত্রী, অজয় মাহালি, চতুর ওরাও , গোপাল প্রধান, ভিক্টর লাকরা, রফিক আনসারি প্রমুখ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দিন দিন চরম বিপদের মুখে চা শ্রমিকদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। নুন্যতম মুজুরি নির্ধারণ করা নিয়ে টালবাহানা বছরের পর বছর ধরে নানা অজুহাতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। চা শ্রমিকদের আবাসন ভেঙে গুড়িয়ে যাচ্ছে অথচ মেরামতের টাকা দেওয়া হচ্ছে না জমির পাট্টা দিতে সমস্যা করছে। শ্রমিক পরিবারগুলি পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ওষুধ এসবের ব্যবস্থা নেই। এক কথায় শোষণের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে টি বোর্ডের নির্দেশিকার নামে বাগানে চা পাতা তোলার নানান বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হচ্ছে। যার ফলে চায়ের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এই অজুহাতে আবার চা শ্রমিকদের ন্যায্য প্রাপ্য সুবিধা দিতে অস্বীকার করা হচ্ছে। বাগান বন্ধ করে মালিক চলে যাবার পর বাগানের জমি মাফিয়াদের হাতে তুলে দেবার চক্রান্ত চলছে। রাজ্য সরকারের মদতেই এসব চলছে। সরকার শ্রমিকদের স্বার্থ না দেখে মালিক তোষণ নীতি নিয়ে চলছে। এই সব দাবির সাথে আগামী ৯ জুলাইয়ের ধর্মঘট সফল করতে আহ্বান জানান চা শ্রমিক নেতৃত্ব।
General Strike
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ধর্মঘটের সমর্থনে সভা ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের

×
Comments :0