রাজ্যের কলেজ গুলোয় পড়ুয়াদের জন্য নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার জন্য হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্শন করে দায়ের হলো মামলা। এদিন তিনজন আইনজীবী বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্শন করেন। তারা দাবি জানান তিনটি আলাদা আলাদা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার। আইনজীবীদের কথায় কসবা কান্ড ফের একবার রাজ্যের কলেজ গুলোয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তাদের দাবি হাইকোর্টের নজরদারিতে রাজ্যের সব কলেজে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এছাড়া সাউথ কলকাতা ল’কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি চাওয়া হয়।
বিচারপতি সেন তিনজন আইনজীবীকেই পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী সপ্তাহে হবে মামলার শুনানি।
অন্যদিকে কসবা কান্ডে তদন্তের জন্য কলেজের ২৫ পড়ুয়া যারা ঘটনার দিন কলেজে উপস্থিত ছিলেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর নির্যাতীতা তাদের যা বয়ান দিয়েছেন তার সাথে গোটা বিষয়টি মিলে যাচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর তিনজনের যেই ফোন তারা বাজেয়াপ্ত করেছে তাতে মনোজিৎ মিশ্রের ফোনে নির্যাতীতা ভয় দেখানো এবং হুমকি দেওয়ার ভিডিও পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় বন্ধ ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ছাত্র সংসদ নেই কিন্তু ছাত্র সংসদ গুলোকে দখল করে সেই গুলোকে ব্যবহার করে একের পর এক অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে। কলকাতার বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় টাকা নেওয়া বা অন্য কোন অনৈতিক কাজ সব কিছুতে অভিযুক্ত তৃণমুল ছাত্র পরিষদ। রাজ্য সরকার প্রতিবছর বলে আসছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন দিন তারা ঘোষণা করতে পারছে না। ছাত্র ছাত্রীদের যেই অধিকার একটা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ পাওয়ার সেখান থেকে তার বঞ্চিত থাকছে। আর এই সুযোগে কলেজ ক্যাম্পাস গুলোকে গুন্ডাদের আঁখড়ায় পরিনত করছে তৃণমূল।
High Court
রাজ্যের কলেজ গুলোয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে মামলা হাইকোর্টে

×
Comments :0