SIR West Bengal

হুগলির শতায়ু বৃদ্ধাও পেলেন এসআইআর ফরম

রাজ্য জেলা

১০৩ বছর বয়সের বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডুর হাতে এসআইআর এর ফ্রম তুলে দিলেন বিএলও।

হুগলি জেলায় কারো শতায়ু হওয়ার পরেও রয়েছে নাম আবার শতায়ু নয় এমন অনেক পরিবারেরই নাম নেই ২০০২ এর ভোটার লিস্টে। আর তার ফলেই শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এনুমারেশন ফরম দিচ্ছেন বুথ লেভেল আধিকারিক (বিএলও)-রা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে এসআইআর গণনা ফর্ম বিলি করছেন বিএলও অথচ তার পরিবারের সদস্যদেরই নাম নেই ২০০২ এর ভোটার তালিকায় এমনটাই জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন ২০০২ সালের ভোটার তালিকা ধরে এসআইআর করছে।
যে তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক বিরোধীতা শুরু হয়েছে।
এমন অনেক ভোটার রয়েছে যারা ২০০২ সালের আগে পরে ভোট দিয়েছেন অথচ দেখা যাচ্ছে ২০০২ সালের শেষ এসআইআর সংশোধিত তালিকায় তাদের নাম নেই। যেমনটা হয়েছে চুঁচুড়ার ১৯৬ বুথের বিএলও অমিতা বিশ্বাসের ক্ষেত্রে। অভিযোগ অমিতার শ্বশুর শ্বাশুড়ি ভাসুর জা স্বামী কারোরই নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই।
অমিতা বলেন,আমার শ্বশুর সমরেন্দ্র বিশ্বাস বৃদ্ধ ৮৬ বছর বয়স। পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে কেওটার বাসিন্দা।বহু পুরোনো বাড়ি আমাদের। নাম নেই ভোটার তালিকায়।অন্য নথি আছে সেগুলো দেখাতে পারবেন। কিন্তু অনেকে এমন আছে যাদের নথি নেই।
আমার নিজের ২০০২ সালে নাম নেই কারণ তখন বয়স হয়নি। মা বাবার আছে আমারটা হয়ে যাবে, কিন্তু শ্বশুর বাড়ির কি হয়, দেখা যাক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,গড়বাগানের অনেকেরই নাম নেই ২০০২ এর তালিকায় যেমন বিএলও ও তার পরিবারের নেই।
পাশাপাশি এখন আর ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন না বাড়িতে বসেই ভোট দেন, বাড়িতে বসেই এসআইআর এর গণনা ফর্ম নিলেন শতায়ু প্রিয়বালা কুন্ডু। তাঁর হাতে ফর্ম দিয়ে বিএলও বললেন উনি দীর্ঘজীবী হোন।
দীর্ঘজীবী প্রিয়বালা কুণ্ডু ১৯২৩ সালে বাংলাদেশে জন্ম।বর্তমান বয়েস ১০৩ বছর। প্রথমে খড়দা তারপর চুঁচুড়া কপিডাঙার বাসিন্দা হন তিনি। ছেলে বৌমা নাতি নাতনিদের নিয়ে সংসার।
২০০২ সালে ভোটার তালিকায় তাঁর নাম আছে। তবে মাঝের কয়েকটা নির্বাচনে ভোট দেওয়া হয়নি কোনো কারনে নাম বাদ গিয়েছিল তাঁর। গত বছর তাঁর নাম ওঠে আবারও ভোট দেন গত লোকসভা নির্বাচনে। ২৬ এর বিধানসভাতেও ভোট দিতে চান তিনি।
বৃদ্ধার পরিবারের সদস্যরা জানান, বয়সের কারণে কানে কম শোনেন প্রিয়বালা। তবে ভোট কি সেটা বোঝেন। আজ যখন বিএলও গুল্লেহা খাতুন এসআইআর ফর্ম তাঁর হাতে তুলে দেন বৃদ্ধা বুঝতে পারেন এটা ভোটের কাগজ।
তাঁর আর কোনো কাগজ দেখাতে হবে না ২০০২ সালের তালিকায় নাম রয়েছে বলে।
বিএলও বলেন, আমার বুথে আর কোনো শতায়ু ভোটার নেই। বৃদ্ধার হাতে ফরম তুলে দিলাম। চাই উনি দীর্ঘজীবী হোন।

Comments :0

Login to leave a comment