SIR CONGRESS

কেবল ২০০২’র তালিকায় এসআইআর নয়, কমিশনে দাবি কংগ্রেসের

রাজ্য কলকাতা

একমাত্র ২০০২’র ভোটার তালিকাকেই এসআইআর’র মাপকাঠি করা উচিত নয়। অন্য বছরের ভোটার তালিকাও ব্যবহার করা উচিত। নির্বাচন কমিশনের সিইও’র দপ্তরে গিয়ে এই মত জানিয়ে এসেছে প্রদেশ কংগ্রেস। এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্বের বিচার না করার দাবিও তুলেছে দল। 
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেছেন, "কংগ্রেস এসআইআরের সরাসরি বিরোধিতা করছে না। কিন্তু সংবিধান মেনে আইন অনুযায়ী এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে এসআইআর করা যাবে না। কেন কমিশন শুধু ২০০২ ভোটার তালিকাকে মান্যতা দিচ্ছে।"
পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ রাজ্যে এসআইআর বা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের ঘোষণার সময় এ প্রসঙ্গে যুক্তি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন যে ২০০২-২০০৩ পর্বে রাজ্যগুলিতে আইআর বা ইনটেনসিভ রিভিশন হয়েছিল। যেমন পশ্চিমবঙ্গে শেষ এই প্রক্রিয়ার পর ২০০২’র ভোটার তালিকা হয়েছিল। তাকে মাপকাঠি ধরা হচ্ছে। 
বিভিন্ন অংশের বক্তব্য, কোনোভাবে ২০০২-এ ভুলবশত নাম বাদ পড়লে বা অন্য কোনও ত্রুটি থাকতে পারে। যা পরে সংশোধিত বা সংযোজিত হয়ে থাকতে পারে। ফলে বিবেচনায় সেগুলি রাখা সঙ্গত।
গত মঙ্গলবার কলকাতায় সিইও দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। সিইও’র সঙ্গে দেখাও করে কগ্রেসের প্রতিনিধি দল। কংগ্রেস দাবি তুলেছে যে এসআইআর-কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। শুভঙ্কর সরকারের পাশাপাশি ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও। 
প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম নেতা সুমন রায়চৌধুরী বলেন,  ‘‘২০০২ সালের পরও একাধিক ভোট হয়েছে। যদি ২০০২ ভোটার তালিকায় কোনও ভুল থেকে যায় তাহলে সেই ভুলের উপর ভিত্তি করে আজকের ভোটার তালিকা তৈরির কোনও মানেই থাকবে না।" 
কংগ্রেসের দাবি, নির্বাচন কমিশন হাত যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজ করুক। তিন মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "এসআইআর করার মাধ্যমে মানুষের নাগরিকত্বের পরীক্ষা করা যাবে না। রাজ্য সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে সর্বদলীয় সভা করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা সিও অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে বলে এসেছি আমরা এস আই আর এর বিরোধিতা করছি না কিন্তু এস আই আর এর নামে যেন একজন বৈধ মানুষেরও নাম না বাদ যায়। মানুষকে হয়রানীর করা চলবে না।"

Comments :0

Login to leave a comment