মণ্ডা মিঠাই
অবিস্মরণীয় হর গোবিন্দ খোরানা
------------------------------
তপন কুমার বৈরাগ্য
------------------------------
২ নভেম্বর ২০২৫, বর্ষ ৩
হর গোবিন্দ খোরানার নাম আমরা সকলেই জানি।ব্রিটিশ শাসনাধীন এই ভারতে জন্মগ্রহণ করেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসাবে ১৯৬৮খ্রিস্টাব্দে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার
পান।তিনি জাতিতে পাঞ্জাবি হিন্দুখত্রী। হরগোবিন্দ খোরানা ১৯২২খ্রিস্টাব্দের ৯ই জানুয়ারি পাঞ্জাবের ছোট্টগ্রাম রায়পুরে জন্মগ্রহণ করেন।প্রথম তার শিক্ষালাভ গাছেরতলায় বসে।প্রকৃতির
সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে।পিতার নাম গণপত রাই খোরানা এবং মায়ের নাম কৃষ্ণাদেবী ।পড়াশুনায় তিনি খুব ভালো ছিলেন।স্কুলজীবন শেষ করে লাহোর থেকে বি এস সি
এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এস সি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে পি এইচ ডিগ্রি লাভ করেন। দেশে ফিরে তিনি চাকরীর চেষ্টা করেন।কিন্তু চাকরী না পেয়ে
তিনি আবার ইংল্যান্ডে ফিরে যান।সেখান থেকে কানাডা।তারপর ১৯৬০খ্রিস্টাব্দে তিনি মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।এখানে তিনি উইসক্যানসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারেনবার্গের সাথে গবেষণা
শুরু করেন ।গবেষণার বিষয় ছিল কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টি নিয়ে।এখানে তিনি আর এন এ এবং ডি এন এর কত্রিম সংশ্লেষণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।ফলে বর্তমানে বংশগত রোগের চিকিৎসা
সম্ভব হয়েছে।কৃত্রিম জিন ও প্রাকৃতিক জিনের মতন কাজ করে। এটা প্রমাণ করে তিনি সারাবিশ্বে অভিনন্দিত হন।যে কাজটা ছিল ভয়ংকর জটিল এক কাজ।কৃত্রিমভাবে জিন তৈরি করা
এক দুঃসাধ্য ব্যাপার।যেটা করে দেখালেন হরগোবিন্দ খোরানা।এটি ছিল এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় সাফল্য।এই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৬৮খ্রিস্টাব্দে চিকিৎসাবিদ্যায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসাবে তিনি পেলেন নোবেল পুরস্কার।ভারতে যদি তিনি চাকরী পেতেন তবে এই সম্মানের আগে হয়তো লেখা থাকতো ভারতীয় বিজ্ঞানী হিসাবে নোবেল পুরস্কার লাভ।১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাকে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করেন।চন্ডীগড়ের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি এস সি উপাধিতে ভূষিত করেন। তার আবিষ্কার ক্যানসারের চিকিৎসাকে আরো সহজ করে তুলেছে।২০১১খ্রিস্টাব্দের ৯ই নভেম্বর ৮৯বছর বয়েসে মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাসুটেসে তিনি পরলোকগমন করেন। ভারতবাসী হিসাবে আমরা তার জন্য গর্বিত।
Comments :0