কবিতা
মুক্তধারা
"হারাতেই হবে মানুষের শত্রুকে" --
নাসিবুর রহমান
২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | বর্ষ ৩
গরব্ সে কহ,"হাম হিন্দু হ্যায়।"
নেহি তো "হাম মুসলিম হ্যায়।"
যেখানে যেমন।
"আমি মানুষ" কভি নেহি।
এই যে দাদা,চলে যাচ্ছেন?
হ্যাঁ, আপনাকে বলছি।
এড়িয়ে যাচ্ছেন?
পালা কিন্তু আপনারও আসছে।
ও দেশে দিপু দাস।
এদেশে আফরাজুল।
জ্বলন্ত লাশ, ভিডিও, উন্মত্ততা।
গার্মেন্টস শ্রমিক ওখানেও,
এখানেও পরিযায়ী শ্রমিক।
কি বলছেন?
আঁচ লাগেনি আগুনের,
লাগেনি আপনার গায়ে?
তাতে কি?
বেড়া পার হতে কতক্ষণ!
কি হলো পালাতে চাইছেন?
হ্যাঁ, আপনাকে বলছি।
'মার্টিন নিয়েমোলার' কিন্তু দেবে না।
পালাতে দেবে না আপনাকে।
ধার্মিক? উগ্রতা? ধর্মের অপমান!
খেতে দেবে আপনাকে?
ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে আছি আমরা।
আপনি-আমি-সবাই।
ওরা গাজোয়ারি করে ধর্মের হাঁড়িকাঠে ফেলছে আমাদের।
আপনাকে কাজের কথা,
মাঢ়-ভাতের কথা, রুটি-রুজির কথা
বলতে দেবে না।
দেবে না বলতে
শিক্ষার কথা
(কারণ ওদের সস্তায় শ্রমিক চাই)
দেবে না বলতে
স্বাস্থ্যের কথা, রাস্তা বিদ্যুৎ পানীয় জলের কথা।
শোনাতে চাইলেও
কভি নেহি।।
ওদের তো অঢেল আছে টাকা,
এদিকের-ওদিকের-বন্ডের
আছে কাটমানি মিডিয়া ক্ষমতা অনেক।
আরো আছে
কার্তিক মহারাজ,হুমায়ুনেরা।
তাই তো গোবিন্দলাল দাস,চন্দন দাসেরা লাশ হয়।
ওপারে জামাত, এপারে বজরং
থিতু হতে দেবে না,
দেবে না খেটে খেতে,
ওদের লাশ চাই। দাঙ্গার লাশ।
তবে তো পাকা ধানে মই দেবে
কর্পোরেট চুষে খাবে জোঁকের মত
চাই মুনাফা, কাঁড়ি কাঁড়ি মুনাফা চাই।
কারণ, কারণ?
"সবচেয়ে ভালো খেতে গরিবের রক্ত।"
তবে শেষ কি এখানেই?
না, শেষেরও শেষ থাকে।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মানুষের।
ঘুরে দাঁড়াও, রুখে দাও বন্ধু
ধর্মীয় উন্মাদনার
উস্কানিকে ছিন্নভিন্ন কর।
চক্রান্তের বেড়াজালকে করো
লন্ডভন্ড।
তা না হলে নিস্তার নাই কারো,
পালাবার পথ নাই মোটে।
লুটে নয় খেতে হবে আমাদেরই খেটে।
তবেই জয় হবে মানুষের,
ধর্মান্ধতা মুক্ত হবে রাষ্ট্র,সমাজ।
তবেই রাত্রির গভীর বৃন্ত থেকে আমরা ছিঁড়ে আনতে পারব ফুটন্ত সকাল।
Comments :0