মধ্যমগ্রামে মোটরবাইক ও মাছ বোঝাই পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে মৃত দুই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মধ্যমগ্রামে। দীর্ঘক্ষণ যশোর রোডে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। সোমবার সকালে দুর্ঘটনা ঘটে মধ্যমগ্রামের কাজী নজরুল ইসলাম সরণি এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতের নাম কাশেদ আলি(২৫) এবং জিয়ারুল রহমান(৩৮)। দুজনেই মধ্যমগ্রামের আবদলপুরের বাসিন্দা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা একটি পুলিশ কিয়স্কে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যারফ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে ডিভাইডারের ফাঁক দিয়ে রাস্তা পেরোতে গিয়ে বাইকটিকে সজোরে ধাক্কা মারে মাছ বোঝাই পিকআপ ভ্যানটি। উল্টে যায় পিকআপ ভ্যানটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহী কাসেদের। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইক চালক জিয়ারুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশের কোনও তৎপরতা ছিল না। দুর্ঘটনার জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ি করে যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান প্রায় ঘণ্টা তিনেক। খবর পেয়ে ঘটনানাস্থলে আসে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ ও বারাসতের এসডিপিও।বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেলেও উত্তেজিত জনতা ক্রমে আরএ উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন। বিক্ষোভকারীরা একটি পুলিশ কিয়স্কে ভাঙচুর করেন ও থানার সামনে প্রতিবাদ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ঘটনাস্থলে একাধিক সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ ছিল। তবুও দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোকারীরা বলেছেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই দুর্ঘটনা। তাদের অভিযোগ প্রতিদিনই এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
Madhyamgram
দুর্ঘটনায় মৃত দুই, যশোর রোড অবরোধ করে মধ্যমগ্রামে বিক্ষোভ

×
Comments :0