আমেরিকা মহাদেশে শান্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনতার উচিত ভেনেজুয়েলার পাশে থাকা। কারাকাস থেকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে একথা বলেছেন ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো।
ড্রাগের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ভেনেজুয়েলায় বামপন্থী সরকারকে হটাতে নেমেছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোানল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশই ভেনেজুয়েলার পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্যারিবিয়ান সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের জেরে লাতিন আমেরিকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।
মাদুরো গত কয়েকদিন পরপর জনসভা করেছেন। সামরিক প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলা।
মাদুরো বলেছেন, ‘‘আমেরিকা মহাদেশের শান্তির জন্য এক হতে হবে। আরও কোনও অন্তহীন যুদ্ধ নয়। আর কোনও অন্যায় যুদ্ধ নয়। আর কোনও লিবিয়া বা আফগানিস্তান নয়।’’
মাদুরোকে জিজ্ঞাসা করা হয়, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কি কোনও বার্তা দিতে চাইছেন? মাদুরো বলেছেন, ‘‘অবশ্যই। তা হলো শান্তি এবং শান্তি চাই আমরা।’’
গত তিন মাসে ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার তটরেখার কাছে প্রায় ১৫ হাজার নৌসেনা পাঠিয়েছে আমেরিকা। পাঠিয়েছে প্রায় একডজন যুদ্ধজাহাজ। সঙ্গে রয়েছে বহু জলযান। গত কয়েকদিন সাগর থেকে মাটিতে সেনা নামাোর মহড়াও চলেছে ক্যারিবিয়ানে।
আরেকদিকে ভেনেজুয়েলার অসামরিক নৌযানে গোলা ছুঁড়ছে আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ। মার্কিন প্রশাসনই দাবি করেছে যে অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছে নৌসেনার গোলায়। আরও দাবি যে নিষিদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে চলছে এই অভিযান।
আন্তর্জাতিক স্তরে যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। কোকেন উৎপাদন বা চোরাচালনের ঘাঁটি হিসেবেও দেখা হয় না ভেনেজুয়েলাকে।
এর মধ্যে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সর্গেই লাভরভ জানিয়েছেন যে ভেনেজুয়েলা আক্রান্ত হলে পাশে দাঁড়াবে তাঁর দেশ। রাশিয়া-ভেনেজুয়েলা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ীই সেই ব্যবস্থা হবে।
US Venezuela
শান্তির পক্ষ নিক মার্কিন জনতাও, যুদ্ধের মুখে বার্তা মাদুরোর
×
Comments :0