আত্রেয়ী নদীর ভাঙনে ডাংগীর সবুজ বনসৃজন ঢুকে যাচ্ছে নদী গর্ভে। বনসৃজন গ্রাস করে বসতির দিকে নদী এগিয়ে চললেও ভ্রুক্ষেপহীন প্রশাসন। আতঙ্কে স্থানীয় গ্রামবাসী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাংগী এলাকায় বাম আমলে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সবুজায়নের লক্ষ্যে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গাছ লাগানো হয়। সেই সময় ডাংগী ফরেস্ট থেকে অন্তত দুইশো মিটার দূরে ছিলো আত্রায়ী নদী। বিগত কয়েক বছর যাবত মূলত বর্ষাকালে নদী ভাঙ্গনের ফলে নদীগর্ভে ঢুকে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার কয়েক হাজার গাছ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিস্তীর্ণ এই বনভূমির অবশিষ্ট অংশটুকুও বাঁচানো যাবে না। প্রসঙ্গত স্থানীয় ভাবে বা পাহার সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টি হলেই আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায় এবং সাথে সাথেই বিস্তীর্ণ এলাকায় অরক্ষিত নদী পাড় জুড়ে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া ডাংগী এলাকায় প্রায় ২৫ একর জমির উপর কয়েক হাজার আকাশমণি, শাল, সেগুন সহ অন্যান্য গাছ লাগানো হয়। একটা সময়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ফরেস্টটিকে ইকো টুরিসম পার্ক করার উদ্যোগ নেয়া হলেও সেই প্রকল্প অজানা কারণে থমকে গেছে। শীতের মরশুমে এই ফরেস্টে পিকনিক করার ভিড় সব থেকে বেশি নজরে আসে। স্থানীয়দের অভিযোগ জেলা প্রশাসন ও নদী সেচ দপ্তরের গাফিলতির কারণে প্রতি বছর নদী ভাঙ্গন ঘটলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো হেলদোল নেই। স্থানীয় পঞ্চায়েত, জেলা প্রশাসন এবং জেলা পরিষদের কাছে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হয়েছে পরিবেশ প্রেমীদের পক্ষ থেকেও। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন ও মাপজোক পর্যন্ত করা হয় কয়েক বছর ধরে কিন্তু তার পর আর কাজ এগোয়নি। স্থানীয়দের দাবি যে ভাবে নদী ভাঙ্গনে বনসৃজন ধংস হচ্ছে তাতে বনভূমি পার হয়ে মানুষের বসতির দিকে এগিয়ে আসতে মাত্র কয়েক বছরের অপেক্ষা। তাদের আশঙ্কা ডাংগীর মানুষের বাসভূমিও নদী গর্ভে বিলীন হবে।
River Erosion
আত্রেয়ী নদীর ভাঙন, নদী গর্ভে ডাংগীর সবুজ বনসৃজন

×
Comments :0