Migrant Worker Murder

মহারাষ্ট্রে নৃশংস খুন বাদুড়িয়ার পরিযায়ী শ্রমিক

রাজ্য জেলা

বছর কয়েক আগে পরিবার নিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন বাদুড়িয়ার বাসিন্দা আবুবকর মণ্ডল(৩৩) তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে খালে পুঁতে রাখে দুষ্কৃতীরা। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার রাতে পরিযায়ী শ্রমিকের কফিন বন্দী খন্ডবিখন্ড দেহ গ্রামে ফিরতেই শোকের আবহে মুড়ে যায় গোটা গ্রাম।
মহারাষ্ট্রের ভাসি পুলিশ থানার ওয়াসিগাও এলাকার ঘটনা। আবু বক্কর মন্ডলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার নারায়ণপুর গ্রামে। বেশ কয়েক বছর হলো মহারাষ্ট্রে রাজমিস্ত্রির কাজে যুক্ত ছিলেন। সে সেখানে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে আবুবক্কর মন্ডলের কোন খোঁজ পাচ্ছিল না তাঁর পরিবার। মোবাইলের সুইচ অফ বলছিল। সেই দিন এবং পরের দিন খোঁজাখুঁজির পর না পাওয়া গেলে স্থানীয় ভাসি থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার। এরপর ভাসি থানার পুলিশ তদন্তে নামে। গত মঙ্গলবার সে যেখানে থাকতো তার থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি ডোবার ভেতরে বস্তাবন্দী অবস্থায় টুকরো টুকরো করা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তাঁর পরিবারকে সেই মৃতদেহ দেখালে তাঁর পরিবার শনাক্ত করে। এরপর দেহটি পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের পর মহারাষ্ট্র থেকে কফিন বন্দি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাদুড়িয়ার রুদ্রপুরে তাঁর বাড়িতে আনা হয়। দেহ বাড়ি ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা-বাবা সহ আত্মীয় পরিজনরা। পরিবারের তরফ থেকে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর এরকম অত্যাচার এমনকি খুনের ঘটনা ঘটছে কেন সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আবেদন জানান মৃতের পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর দেহ দাফন করা হয়। মৃতের জামাইবাবু শাহিনুর গাজী বলেন, ‘‘আমরা খুবই মর্মাহত। তাঁর দেহকে যেভাবে খন্ড খন্ড করে মেরে ফেলা হয়েছে সে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি যাতে দোষীরা শাস্তি পায়। আমরা কিছুই চাইনা আমরা শুধু দোষীর কঠোর শাস্তি চাই।’’
মৃতের মা বলেন, ‘‘টাকার অভাবে আমার ছেলে ঘরবাড়ি ছেড়ে কাজে গিয়েছিল। খণ্ড খন্ড করে আমার ছেলেকে মেরে ফেলে পুঁতে রেখেছিল কাদায়। আমার ছেলে এই কুড়ি বছর মুম্বাইতে বিল্ডিং লাইনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।

Comments :0

Login to leave a comment