College Rape

ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণে জারি প্রতিবাদ, ধৃত নিরাপত্তারক্ষী

রাজ্য কলকাতা

কসবার কলেজের ভেতরেই ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জারি রয়েছে শনিবারও। এদিন বিকেলে কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের ডাকে বিজন সেতু থেকে হবে মিছিল।
গত ২৫ তারিখ প্রায় চার ঘন্টা ধরে বিজন সেতুর কাছে এই আইন কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনা ঘিরে সারা রাজ্যে ক্ষোভ। প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র কলেজে তৃণমূলের নেতা।  
শনিবার এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তারক্ষীকে। অভিযোগ, এই নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী ব্যানার্জি কলেজে থাকা সত্ত্বেও বাধা দেননি। প্রবল প্রতিবাদের জেরে বছর একত্রিশের মনোজিৎ মিশ্র, ১৯ বছরের জাইব আহমেদ এবং ২০ বছরের প্রমিত মুখার্জিকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৬ জুন নির্যাতিতা কসবা থানায় বিশদে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ২৭ জুন, শুক্রবার, বিজন সেতুর কাছে কসবা থানায় আছড়ে পড়ে ছাত্র-যুব-মহিলাদের ক্ষোভ। একাধিক প্রতিবাদী আটক করে পুলিশ। তবে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ জারি রাখছে।
তৃণমূল কংগ্রেস ঘটনার দায় ঝাড়তে বলেছে যে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র অতীতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা হলেও এখন যুক্ত নন। অথচ মনোজিৎকে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দেওয়ালে তার নাম। নির্যাতিতার অভিযোগেও জানানো হয়েছে যে এই মনোজিৎই ছিল কলেজে তৃণমূলের বাহিনীর মাথা।  
জানা গিয়েছে, কলেজের দু’টি গেটের সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে তদন্তকারী দল। ঘটনার সময়ে কলেজে আর কারা ছিল দেখা হচ্ছে। 
ছাত্রীর অভিযোগপত্রে ঘটনার ভয়াবহ বিবরণ রয়েছে। তাঁর ওপর নির্যাতন চালানো হয় ইউনিয়ন রুমে। তারপর নিরাপত্তা রক্ষীর ঘরে চলে নিপীড়ন। বহু অনুনয় সত্ত্বেও তাঁকে ছেড়ে দেয়নি তৃণমূলের বাহিনী। এমনকি নির্যাতিতা নিজে জানিয়েছেন যে তাঁকে ‘ছাত্রীদের সম্পাদক’ করেছিলেন মনোজিৎ। 
এসএফআই, ডিওয়াইএফআই’র পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন অংশই বলেছে যে কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না করে তৃণমূল দুষ্কৃতী-দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment