অন্যকথা
পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্য
তপন কুমার বৈরাগ্য
মুক্তধারা
পৃথিবীর বৃহত্তম মহাকাব্য আমাদের দেশের মহাভারত।
বিশ্বের প্রাচীন শিলালিপিটির বয়েস পাঁচ হাজার বছর।
সবচেয়ে প্রাচীন শিলালিপিটি পাওয়া গেছে ইরানের
বেহিস্তানে।এই ইরান,ইরাক,সিরিয়া,সৌদি আরব এই
কটা দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল মেসোপটেমিয়া সভ্যতা।
এদের লিপি ছিল আর্কাইক কিউনিফর্ম। মেসোপটেমিয়াকে
বলা হয় মানব সভ্যতার আঁতুর ঘর। 'গিলগামেশ 'হল
পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্য।এটি মেসোপটেমিয়ার
মহাকাব্য।যাকে প্রাচীন সাহিত্য কর্ম বলা হয়। এই মহাকাব্যটি
রচিত হয়েছে প্রায়২১০০খ্রিস্টপূর্বাব্দে।এর আগে কোন
মহাকাব্য রচিত হয় নি। মহাকাব্যটি কে লেখেন তাঁর
নাম জানা যায় নি।পাঁচটি সুমেরীয় কবিতার মাধ্যমে
এই কাব্যর সূচনা করা হয়।যাদের বলা হয় বিলগামেশ।
এই বিলগামেশ গিলগামেশের সুমেরীয় নাম। এটা একটা
প্রকৃত মহৎ রচনা বলা যেতে পারে। আজ থেকে
১৫০০বছর পূর্বে হোমারের ইলিয়াড ও ওডিসি রচিত
হয়েছিল।তার সঙ্গে গিলগামেশ কাব্যের অনেক মিল
আছে।ইরানের শহর উরুকের রাজা গিলগামেশ এবং
তাঁর বন্ধু এনকিদুকে নিয়ে এই কাহিনি বিস্তৃত। এই কাব্যটা
এখনো এতোটা মূল্যবান তার কারণ এখানে মানুষের
জীবন যাপনের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক নির্দেশ করা হয়েছে।
গিলগামেশের পশুদের প্রতি ভালোবাসা ছত্রে ছত্রে
ফুটে উঠেছে। এই কাব্যে সাহিত্য,শিল্প এবং সংগীত
সৃষ্টির অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়েছে। বারো ফলকের
এই সঃস্করণের দুই তৃতীয়াংশ উদ্ধার করা হয়েছে। কাব্যে
গিলগামেশের ছবিও আছে।তাঁর এক হাতে আছে সাপ
এবং বুকে ধরে আছে সিংহকে। তাঁর কাছে অনেক
কিছু শিক্ষার আছে।যেমন কিভাবে সত্যিকারের রাজ্য
পরিচালনা করা যায়।তাই একে সত্যিকারের মহৎ কাব্য
বলা যায়।
Comments :0