আদালতের রায়ে স্কুলে স্কুলে পদ ফাঁকা। শিক্ষাকর্মীদের ‘সার্ভিস ভেরিফিকেশন’-র দায় প্রধান শিক্ষকদের ওপর চাপানো হয়েছে। বই পায়নি ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলে স্কুলে নেই কম্পোজিট গ্রান্ট।
এমন একাধিক সমস্যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবিতে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলার প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা উপ সমিতির পক্ষ থেকে সোমবার মাধ্যমিক স্তরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেছেন,
২০১৬ প্যানেল ভুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে অনেকেই নোডাল শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা আর সে কাজ চালিয়ে যেতে চাইছেন না। ফলে বিদ্যালয় প্রধানরা চূড়ান্ত আদালতের রায়ে শিক্ষাকর্মীদের পদ ফাঁকা। আবার ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালের দুর্বিষহ অবস্থা। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের সার্ভিস ভেরিফিকেশন-এর দায়িত্ব যেভাবে বিদ্যালয় প্রধানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি তার বিরোধিতা করেছে।
কম্পোজিট গ্রান্ট বকেয়া থেকে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত এবং প্রশাসনিক কাজ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে জেলা প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা উপ সমিতির আহ্বায়ক সুমন্ত বাগচী জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, পাশাপাশি শিক্ষা দপ্তর থেকে বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে যে সকল নির্দেশিকা দেওয়া হয় তাতে বেশিরভাগ সময়ই অস্পষ্টতা ও অস্বচ্ছতা থাকে। নির্দেশিকা নির্ভুলভাবে প্রকাশ করার করার দাবি করা হয়।
এছাড়াও সেপ্টেম্বর মাসে দ্বাদশ শ্রেণির তৃতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা। অথচ ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই বাংলা ও ইংরেজি বই পায়নি। অতি দ্রুততার সাথে ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার ও দাবি করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকা উপসমিতির জেলা আহ্বায়ক সুমন্ত বাগচী, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তথা প্রধান শিক্ষিকা রীতা রায় সেনগুপ্ত, এবিটিএ জলপাইগুড়ি জেলা শাখার সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়, জেলা শাখার সহ সম্পাদক কৌশিক গোস্বামী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ABTA Jalpaiguri
কর্মী নেই স্কুলে, নেই কম্পোজিট গ্রান্ট, জলপাইগুড়িতে স্মারকলিপি প্রধান শিক্ষকদের

×
Comments :0