মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ, কোচবিহার, বীরভূমের পর এবার কালীয়াগঞ্জ। বাংলাদেশী সন্দেহে ফের ওড়িশায় আটক কালীগঞ্জের ২৭ জন যুবক। ওড়িশা পুলিশ তাদের আধার কার্ড এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগেও নয়ডা, ওড়িশা, বেঙ্গালুরু, রাজস্থান, এবং দিল্লির মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারকে হেনস্তা করছে প্রশাসন। তাঁদের বাংলাদেশী বলে আটক করা হয়েছে। এবার কালীয়াগঞ্জের ২৭ জন যুবককে বাংলাদেশী আটক করেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ওড়িশায়।
জানা গেছে দিনসাতেক আগে ওড়িশায় কাজে গিয়েছিলেন কালীগঞ্জের পানিঘাটার মির্জাপুরের বাসিন্দা ইজারুল শেখ, ইব্রাহিম মুন্সি, রাইহান শেখ সহ বেশ কিছু যুবক। অভিযোগ, সোমবার রাতে হঠাৎ ওড়িশার পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে ফোন করে তাঁরা জানান বাংলাদেশী সন্দেহে ওড়িশা পুলিশ তাদের আটক করে রেখেছে। কেড়ে নিয়েছে আধার কার্ড, মোবাইল ফোনও। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের আধার কার্ডের কপি ও ভোটার কার্ড পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। এমনকি মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফলে দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন পরিবারের সদস্যরা। বাংলাতে কথা বলার জন্য বাংলাদেশী সন্দেহে তাদের আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের মানুষজন। বুধবার আটক চারজনকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে জেলা পুলিশ সূত্রে। আটক বাকিদেরও যাতে ছেড়ে দেওয়া হয় তার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। দেশের ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলার শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী, শ্রমিক কাজ না পেয়ে ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছেন পেটের তাগিদে পরিবাররের মানুষগুলির মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে। বাংলায় কথা বলার কারণে তাদের অনেককে হয় আটক না হয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নানা প্রমাণপত্র দেখালেও ছাড়া হয়নি। এমনকি তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ওড়িশা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কালীয়াগঞ্জের ২৭ জন যুবকের পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা।
Migrants
বাংলাদেশি সন্দেহে ওড়িশায় আটক কালীগঞ্জের ২৭ যুবক

×
Comments :0