Naxalbari Rape Case

নকশালবাড়ি নির্যাতিতার বাড়িতে সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ

জেলা

নকশালবাড়িতে নাবালিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রবীন সিপিআই(এম) নাতা অশোক ভট্টাচার্য। শুক্রবার শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি এলাকায় নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা গৌতম ঘোষ, মাধব সরকার, তুফান মল্লিক, শিবকুমার প্রধান, ইন্দ্র মাঝি সহ অন্যান্যরা। নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সেই পরিবারটিকে ভরসা ও সাহস দেন অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর কাছে নাবালিকার মা দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, মেয়েটি এখনও হোমে রয়েছে। কিন্তু বাড়িতে আনার সাহস পাচ্ছি না। বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো মেয়ের।  
অশোক ভট্টাচার্য এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘মেয়েদের ওপর নির্যাতন প্রতিরোধে আরো বেশী করে মেয়েদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সময়ে মেয়েদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় অপরাধ করার প্রবনতা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোট ছোট মেয়েরাও এই সময়ে নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে সাহসের সাথে মা বোনেদের রাস্তার লড়াইতে পা বাড়াতে হবে। যারা ভয় পাচ্ছেন তাদেরকেও বোঝাতে হবে। সমস্ত ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে বেশী সংখ্যায় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’’ 
প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির একটি চা বাগান এলাকায় গত ২০ এপ্রিল রাতে বাড়ির বাইরে ফোনে কথা বলার সময় এক নাবালিকাকে পেছন থেকে মুখে চেপে ধরে দুই যুবক চা বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আরো এক যুবক চলে এসে তিনজন যুবক মিলে একাধিকবার নাবালিকাকে শারিরীক নির্যাতন করে। অনেক রাতে স্থানীয়রা নাবালিকাকে চা বাগানের ভেতরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে নকশালবাড়ি থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠায়। নকশালবাড়ি থানায় নাবালিকার পরিবারের পক্ষে দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই ওই চা বাগান এলাকারই বাসিন্দা অভিযুক্ত সরোজ টোপ্পো, পঙ্কজ মাহাতো ও রোশন কুমার মাহাতোকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক তথ্য প্রমান মিলেছে। বর্তমানে নির্যাতিতা মেয়েটি হোমে রয়েছে। 

Comments :0

Login to leave a comment