Students Health Home

সুকান্ত জন্ম শতবর্ষে বছরভর কর্মসূচি হেলথ হোমের

রাজ্য কলকাতা

প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে স্টুডেন্টস হেলথ হোমের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা।

বন্ধ সমস্ত সরকারি অনুদান। তীব্র আর্থিক সংকট। তা সত্ত্বেও ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের জন্য অতি স্বল্প খরচায় উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছে স্টুডেন্টস হেলথ হোম। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শতবর্ষে বছরজুড়ে নানা অনুষ্ঠান করবে এই প্রতিষ্ঠান। সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথাই জানান স্টুডেন্টস হেলথ হোমের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ পবিত্র গোস্বামী। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ডাঃ পবিত্র গোস্বামী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ শঙ্কর নাথ, ডাঃ অপূর্ব মুখার্জি, ডাঃ গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু চিকিৎসক ও স্টুডেন্টস হেলথ হোম আন্দোলনের নেতা এবং কর্মীবৃন্দ।
ডাঃ পবিত্র গোস্বামী জানিয়েছেন যে বর্ষব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হবে আগামী ১৬ আগস্ট শনিবার, মৌলালির কেন্দ্রীয় ভবনে। কর্মসূচি চলবে  ২০২৬, ১৬ আগস্ট পর্যন্ত। চলতি বছর ১৬ আগস্ট শতবর্ষের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অপূর্ব মুখার্জি। ওইদিন স্টুডেন্টস হেলথ হোমের নবরূপ প্রাপ্ত সেমিনার হলের 'ছাড়পত্র' নামকরণ করা হবে। এ ছাড়াও থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা। জন্মশতবর্ষে কবি সুকান্ত বিষয়ে বলবেন হোমের সহ সভাপতি শ্রী তরুণ ব্যানার্জি। 
২ সেপ্টেম্বর হোমের মৌলালির মূল কেন্দ্রে সকাল ১১টা থেকে কবির স্মরণে রক্তদান শিবির হবে। একই সময়ে হবে হোমের ডেন্টাল ক্লিনিকে এ যুগের রানার অর্থাৎ গিগ শ্রমিকদের বিনামূল্যে মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরামর্শ দান। ওইদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে কবি সুকান্ত স্মারক বক্তৃতা। আলোচনা করবেন বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস চক্রবর্তী।
আগামী ১৭ জানুয়ারি ২০২৬ কবির স্মরণে রাজ্য জুড়ে পদযাত্রা সংগঠিত হবে। 'এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক'রে যাব আমি' শিরোনামে কেন্দ্রীয় পদযাত্রা শেষ হবে মৌলালির কেন্দ্রীয় ভবনে। পদযাত্রার সূচনা বেলা ২.৩০ মিনিটে, কলেজ স্কোয়ার থেকে। 
পরের বছর, ২০১৬’র ১৩ মে কবির মৃত্যুদিনকে মনে রেখে হেলথ হোমের মূল কেন্দ্রে কবি সুকান্ত স্মৃতি বক্ষরোগ ক্লিনিকের উদ্বোধন হবে। ওইদিন বিকেলে আলোচনা সভায় 'যক্ষ্মার একাল সেকাল' নিয়ে বলবেন বিশিষ্ট বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞরা। ১৬ আগস্ট ২০২৬ হবে সমাপ্তি অনুষ্ঠান।
চিকিৎসক গোস্বামী জানিয়েছেন, "২০১১ সালের পর থেকে সমস্ত সরকারি অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্টুডেন্ট হেল্থ হোমের। তারপরও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় ও সদস্য পদের ওপর ভিত্তি করে চলছে হেলথ হোমের কার্যক্রম। ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা পাওয়া যেত সরকারি অনুদান বাবদ। যা খরচ করা হতো গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসা ও অপারেশনের কাজে। কিন্তু হঠাৎ করেই সেই টাকা বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। অভিযোগ করা হয় আর্থিক তছরূপ করা হচ্ছে। তদন্ত কমিশনও একটি গঠন করা হয়। সরকার বলে যে তদন্ত কমিশনের রিপোর্টে যদি ক্লিনচিট দেয় কমিশন তবেই এর আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। কিন্তু আজও পর্যন্ত সেই কমিশন কোন রিপোর্টই জমা দেয়নি। হেল্‌থ হোমের স্বচ্ছতা রাখার জন্য প্রতি বছর আমরা অডিট রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেই। সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও বিভিন্ন অনুদান থেকে আমরা হেলথ হোমে মূল দপ্তর মৌলালিতে ৫১ বেডের হাসপাতাল ও চার বেডের আইসিইউ ইউনিট খুলতে পেরেছি। যা অতি স্বল্প মূল্যে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে।"

Comments :0

Login to leave a comment