surinder koli

পরপর শিশুহত্যা, নিঠারির সেই ভয়ঙ্কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে ছাড় কোলির

জাতীয়

বিশাল বাড়িটা থেকে মিলেছিল শিশুদের কঙ্কাল। ব্যবসায়ী মণিন্দর সিং পান্ধেরের ওই বাড়ির পাশের নালায় মিলেছিল শিশুদের দেহাংশ। ২০০৬’র ডিসেম্বরে দিল্লির অদূরে নিঠারির হত্যাকাণ্ডে ঘৃণায় সোচ্চার হয়েছিল দেশ। আগেই ছাড় পেয়েছিলেন দণ্ডিত পান্ধের। তাঁর সহযোগী আরেক দণ্ডিত সুরেন্দ্র কোলিকেও মঙ্গলবার ছাড় দিল সুপ্রিম কোর্ট।   
নিঠারিতে পরপর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুরেন্দ্র কোলির কারাদণ্ডের নির্দেশ বাতিল করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ। অপরাধের তদন্তের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই।
এদিন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ জানায় যে কোলি অন্য কোনো মামলায় অভিযুক্ত না থাকলে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। 
২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নয়ডার মাহেন্দ্র সিং পান্ধেরের বাড়ি থেকে যখন আটটি শিশুর কঙ্কাল উদ্ধার হয়। তখনই এই নিঠারি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তীব্র আলোড়ন পড়ে দেশে। অভিযুক্ত কোলি ওই বাড়িতেই কাজ করতেন। তদন্ত চলাকালীন  ওই বাড়ি থেকে আরো বেশ কিছু কঙ্কাল উদ্ধার হয়। যাদের কঙ্কাল উদ্ধার হয় তাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু  এবং কিশোরী। যারা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই নিখোঁজ ছিল। সবাই একেবারে গরিব পরিবারের। অনেকের পরিবার অন্য রাজ্য থেকে নিঠারি এলাকায় ঘর নিয়ে গিয়েছিল কাজের খোঁজে। 
ওই সিরিয়াল কিলিং'র ঘটনার মূল অভিযুক্ত পান্ধের ও কোলিকে একই মাসের কয়েকদিনের ব্যবধানে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করার পর শিশু ও মহিলাদের অপহরণ ও খুন, খুনের পর দেহগুলিকে নালায় ফেলে সরানোর পাশাপাশি নরমাংস ভক্ষণের মতো বিভিন্ন মামলা রুজু করা হয়। 
পাশাপাশি শিশুদের খুন ও টুকরো টুকরো করে দেহ গুলিকে ফেলে দেওয়ার জন্য কলির বিরুদ্ধেও বিভিন্ন মামলা রুজু করা হয়।
গত ১৬ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট কোলিকে ১২টি মামলায় এবং পান্ধেরকে ২টি মামলায় খালাস করে। নিম্ন আদালতে দু’জনের বিরুদ্ধেই মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষিত হয়েছিল।

Comments :0

Login to leave a comment