AIDWA

রুটি রুজির সংকেট আক্রান্ত মহিলারাও, পূর্ণ স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের লক্ষ্যে লড়বে মহিলা সমিতির

জেলা

ডেবরা বাজারে সমাবেশ বক্তব্য রাখছেন মহম্মদ সেলিম। ছবি: চিন্ময় কর।

সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ১৮ তম সম্মেলনের সমাপ্তি দিনে সম্মেলনের স্থল সুকান্ত স্মৃতি ভবনের সামনে থেকে ডেবরা বাজার ৬ কিমি পথে মহিলাদের শ্লোগান মুখর মিছিলে নজর কাড়লো। পাট্টা, বর্গা জমি থেকে উচ্ছেদের প্রতিকার সহ একশ দিনের  কাজ এবং মজুরী বৃদ্ধির দাবী আদায়ের লড়াইয়ের বার্তায়। ক্ষেতমজুর রমনী, কৃষক রমনী, পিছিয়ে পড়া তপশিলি জনজাতির, সংখ্যালঘু মহিলারা আজ ডেবরার গ্রাম ভেঙে সামিল হলেন রুটি রুজির সংকোট মোকাবিলার দাবি সহ রাজ্য জুড়ে যাওয়ায় নারী নির্যাতন ধর্ষণ খুনের ঘটনার প্রতিকার, দোষীদের শাস্তি সহ এমন ঘটনা রুখে দেওয়ার সংগঠিত সামাজিক জাগরনের আন্দোলনের বার্তা নিয়ে। মিছিলে হাঁটলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব মহম্মদ সেলিম, মহিলা সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব কনীনিকা ঘোষ, জাহানারা খান, অঞ্জু কর, গীতা হাঁসদা, জেলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব বিজয় পাল সহ সংগঠনের জেলা নেতৃবৃন্দ। মিছিল শেষে ডেবরা বাজারে সমাবেশ সংগঠিত হয়। সমাবেশে  প্রধান বক্তা ছিলেন মহম্মদ সেলিম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য নেতৃবৃন্দ।

গতকাল শনিবার সম্মেলন শুরু হয়। আজ দুপুর পর্যন্ত সেই সম্মেলন চলে। সম্মেলনে সাংগঠনিক বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী  জাহানারা খান। পর্যবেক্ষন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ বলেন, "দেশ ও রাজ্য জুড়ে রুটি রুজির সংকেট সহ ধর্মের নামে দাঙ্গা লাগানোর ঘটনায় সমাজের সবচেয়ে বেশী এবং প্রথম আক্রান্ত হয় মায়েরা, মহিলারা। আজ অর্ধেক আকাশ জুড়ে সেই মহিলাদের নিজেদের অধিকার, নারীর পূর্ণ স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষার লড়াইতে মহিলাদের সামিল করার দায়িত্ব পালনে সংগঠনের নেতৃত্বদের আরও যত্নবান ও মনোনিবেশকরার প্রয়োজন রয়েছে।"  
সম্মেলন থেকে ৪১ জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়। রাজ্য সম্মেলনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ১৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। সম্পাদক পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন নাসিমা বিবি এবং নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্মৃতিকনা দেবনাথ।

 

Comments :0

Login to leave a comment