Post Editorial

রাম আছে কাজ নেই, মহাত্মা আছে গ্যারান্টি নেই

উত্তর সম্পাদকীয়​

পীযূষ ব্যানার্জি


মহাত্মাকে বিযুক্ত করে এদেশের গ্রামের মানুষের কাজের অধিকারের আইনি নিশ্চয়তাকে নিশ্চিহ্ন করার বিল সংসদের দুই কক্ষে পাশ করিয়ে নিয়েছে আরএসএস-বিজেপি সরকার। আর এরাজ্যে সমান দ্রুততায় সরকারের ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে এখন ‘মহাত্মা- শ্রী’ যুক্ত করে গ্রামীণ জনতার সঙ্গে চিরাচরিত প্রতারণার নয়া নজির তৈরি করে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 
গত ২০ বছর ধরে চালু মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা আইন আর কার্যকরী নেই। গ্রামের মানুষের কাজের গ্যারান্টির আইন কেন্দ্রের মোদী সরকার তুলে দিয়েছে। অতি স্বল্প সময়ে দেশের সংসদে কার্যত সদস্যদের কোনও আলোচনার সুযোগ না দিয়ে পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে মানুষের কাজের অধিকারের অতীত আইনকে। দেশের মধ্যে শুধু নয়, বিশ্বের কাছে রেগা ছিল এমন এক আইন, যা কাজের অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছিল। 
সেই রেগা আইন এখন বাতিল। পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকার নয়া আইন এনেছে। নতুন আইনের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘বিকশিত ভারত গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজিবীকা মিশন (গ্রামীণ) বিল’। সংক্ষেপে যা এখন ‘জি রাম জি’ বিল নামে প্রচারিত। নয়া বিল সংসদে পেশ হওয়ার আগে বিরোধিতা তৈরি হয়েছিল প্রকল্পের নাম পরিবর্তন নিয়েই। মহাত্মা গান্ধীর পরিবর্তে ‘বিভি- জি রাম জি’ নাম নিয়েই। সঙ্ঘের শতবর্ষে তাদেরই ঘরে বেড়ে ওঠা সন্তান নাথুরামের হাতে খুন হওয়া মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নাম সরকারি প্রকল্পের আইন থেকে বাদ দেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নাম পরিবর্তনের বিরোধ ছাপিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সামনে চলে আসে নয়া বিলের মূল কার্যক্রমগুলি। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় সঙ্ঘের শতবর্ষ পার করা আরএসএস-বিজেপি আসলে কী চায়। মহাত্মার আদর্শের সঙ্গে এদেশের মানুষের কাজ পাওয়ার আইনি অধিকারকেই আসলে কাড়তে চাইছে বিজেপি।
যে আইনি অধিকার কোভিড পর্বে কাজ হারিয়ে ঘরে ফেরা লক্ষ, লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের জীবিকা নিশ্চিত করেছিল সেই কাজের অধিকার এখন মৃত। শুধু কোভিড পর্বেই ১ লক্ষ ১১ হাজার ১০১ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল রেগায়। মানুষের রোজগার নিশ্চিত করার আইনের এখন আর কোনও নিশ্চয়তা থাকবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে গ্রামীণ গরিব মানুষ, খেতমজুর, ভূমিহীন কৃষকের বেঁচে থাকার জন্য কাজ। 
এখন পার্লামেন্ট বিল পাশ করিয়ে ১০০ দিনের পরিবর্তে ১২৫ দিন কাজ পাওয়ার কথা সোচ্চারে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। নয়া বিলে শ’দিনের পরিবর্তে ১২৫ দিনের কথা যে উল্লেখ আছে তা স্বীকার করে নিতেই হবে। কিন্তু পাশ হওয়া বিলে যা বলা হয়েছে তাতে ১২৫ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই গ্যারান্টির কোনও আইনি নিশ্চয়তা নেই। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জাঁ দ্রেজে তাই কটাক্ষ করে বলেছেন,‘ জি রাম জি আইনে গ্যারান্টির কোনও গ্যারান্টি নেই।’
আসলে আদানি-আম্বানিদের কর সেবক নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে হাজার কোটি টাকার সুবিধা পাইয়ে দিতে যতটা তৎপর, ঠিক ততটাই গরিব মানুষের কাজের প্রকল্পের টাকা বরাদ্দে হাত পিছনে চলে যায়। তাই তো গত পাঁচ বছরে নিয়ম করে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। একাধিক নিয়মের বেড়াজাল তৈরি করে গ্রামীণ গরিবের কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তাকে ধ্বংস করা হয়েছে। আসলে মোদী সরকার মনেই করে না, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের যৌক্তিকতায়। তা না হলে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায় দেশের সংসদে কী বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সংসদে রেগা আইনকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন,‘ মনরেগা আপনাদের( ইউপিএ সরকারের) অসাফল্যের জীবন্ত ছবি। স্বাধীনতার ৬০ বছর পর আপনাদের লোকজনকে গর্ত খোঁড়ার জন্য পাঠাতে হচ্ছে।’ যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে ১০ বছর আগে রেগাকে নিয়ে এই মন্তব্য করেন, তাঁর আমলে রেগা আইনকে কবরে পাঠানোর কাজই নিশ্চিত হবে তা বলাই বাহুল্য। 
২০০৪ সালের রেগা আইনের ইতিহাস
দেশে বামপন্থীদের সমর্থনে সরকার তৈরি হয়েছে। সেই প্রথম ইউপিএ সরকারের কাছে বামপন্থীদের তরফ থেকে পেশ করা ন্যূনতম সাধারণ কর্মসূচির মধ্যেই রাখা হয়েছিল গ্রামীণ জনতার কাজের অধিকার নিশ্চয়তার আইন। বামপন্থীরা সেদিন মন্ত্রিত্ব চেয়ে দরকষাকষি করেনি। গণআন্দোলন তৈরি করে দিয়েছিল সেদিনের রেগা আইনের খসড়া। ২০০৪ সালের ১ জুলাই সেই খসড়া আইন পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিলে। সেখানে ব্যাপক আলোচনা, সংশোধন, সংযোজন করে এক মাস পর তা পাঠানো হয়েছিল ইউপিএ সরকারের কাছে। আগস্ট, ২০০৪ সালে প্রশাসনিক স্তরে একদফা আলোচনার পর বিলের খসড়া যায় কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে। ২০০৪ সালের ২০ ডিসেম্বর রেগা বিল পেশ করা হয়েছিল সংসদে। সংসদের দুই কক্ষে ব্যাপক আলোচনার পর বিল পাঠানো হয়েছিল স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। ঘটনা হলো, সেই সময় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন বিজেপি’র সাংসদ কল্যাণ সিং। স্ট্যান্ডিং কমিটিতে চর্চার পর ফেরত আসে সংসদে। লোকসভা ও রাজ্যসভা- দুই কক্ষেই সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছিল ১০০ দিনের কাজের আইন। 
আর এখন সেই বুলডোজার চালিয়ে রাতারাতি সেই আইনকে ধূলিসাৎ করে গ্রাম ভারতের কাজের অধিকারই কেড়ে নিয়েছে মোদী সরকারের জি রাম জি বিল।
নয়া বিলের বিরোধিতা কেন
অতীতের মনরেগা আইন দেশের গ্রামীণ জনতাকে কাজের নিশ্চয়তা দিয়েছিল। এখন তা কেন্দ্রীয় সরকারের মরজির ওপর। সরকার দরকার মনে করলে কাজ দেবে, নইলে দেবে না। ফলে কাজের অধিকারের নিশ্চয়তাকে খতম করা হয়েছে নয়া জি রাম জি বিলে। রেগার কাজ ছিল চাহিদা ভিত্তিক। গ্রামের মানুষ তাঁর জবকার্ড নিয়ে কাজ চাইলে সরকারকে কাজ দিতে হবে। এমনই ব্যবস্থা ছিল অতীত আইনে। এখন কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে দেবে কোন রাজ্য, কোন প্রান্তে কী কাজ হবে। 
নয়া ‘জি রাম জি’ বিলে বিপজ্জনক ধারা ৫। যেখানে কাজ চাইবারই অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করে দেবে কোন রাজ্যে কাজ দেবে। কতটা কাজ দেওয়া হবে, এমনকি কোন প্রান্তে কাজ দেওয়া হবে তাও কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পূর্ণ বিবেচনাধীন থাকবে। ফলে গ্রামের গরিব এলাকার পঞ্চায়েতে গিয়ে কাজ চাইলেই কাজ পাবে না।
নয়া বিলের ২২ নং ধারায় আর্থিক দায় অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বোঝা চাপানো হয়েছে রাজ্যগুলির ওপর। অতীত আইনে রেগার লেবার বাজেটের পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করতো। এখন থেকে তা ৬০ শতাংশ কেন্দ্র ও ৪০ শতাংশ রাজ্য বহন করবে। এমনকি ২২ নং ধারার ৫ নং উপধারাতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও এলাকায় রাজ্য সরকার যদি অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কাজ দিলেও সেই কাজ হবে নয়া জি রাম জি বিলের মানদণ্ডেই। কোনও রাজ্যের পক্ষে এই আর্থিক বোঝা বয়ে বেড়ানো কঠিন শুধু নয় অসম্ভবই। তার থেকেও বড় কথা, কাজ হবে কি না তা তো ঠিক করবে কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষের কাজ চাওয়ার অধিকারই শেষ।
দেশের সংবিধানের ৩৯  নং ধারায় নির্দেশমূলক নীতিকে ভিত্তি করে ১০০ দিনের কাজের অধিকার নিশ্চয়তার আইন আনা হয়েছিল। ২০ বছর পর মোদী সরকার সেই সাংবিধানিক দায়িত্বকেই নস্যাৎ করে এখন রোজগার নিশ্চয়তা আইনকে তুলে দিয়ে স্রেফ একটি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে নামিয়ে আনলো!
অতীত আইনে রেগার লেবার বাজেটের কোনও সীমা ছিল না। যেহেতু মানুষের কাজের চাহিদাকে ভিত্তি করেই এই আইন তৈরি হয়েছিল তাই কাজ চাইলে কজ দিতে বাধ্য থাকতো সরকার। তাই কোভিড পর্বে রেগার বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু অতিমারীতে কাজ হারানো গ্রামীণ জনতার রোজগারের চাহিদায় শেষ পর্যন্ত গোটা দেশে খরচ হয়েছিল ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এখন লেবার বাজেটের ব্যাপারটাই তুলে দেওয়া হলো।
অতীত আইনে ৬ নং ধারায় রেগার মজুরির হার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার ন্যূনতম মজুরির সঙ্গে তাল মিলিয়ে করার আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল। নয়া ‘জি রাম জি’তে তার অস্তিত্বকেই তুলে দেওয়া হয়েছে। 
রেগায় ভূমিকা ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের। গ্রামসভার। এখন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থার আর কোনও প্রয়োজন থাকবে না নয়া আইনে। রাজ্যের হাত থেকে ক্ষমতাকে চূড়ান্ত কেন্দ্রীকরণের পথে নিয়ে যাওয়া হলো।
রেগায় বাস্তবায়নের সমস্যা
অতীত আইনে বাস্তবায়িত করার সময় সমস্যা ছিল না এমনটা ভাবলে ভুল হবে। একাধিক সমস্যায় ভূগতে হয়েছে গ্রামের গরিব মানুষকে। অতীতে রেগার কাজ পাওয়া শ্রমিকদের হাতে নগদ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু ছিল। পরে তা থেকে সরে গিয়ে ডাকঘর মারফত টাকা পাঠানো চালু হয়। সেখান থেকে ব্যাঙ্কের পাসবই তৈরি করে টাকা পাঠানো হতো। শেষপর্বে এসে আধার সংযোগ করে ই-কেওয়াইসি মারফত নয়া ব্যবস্থায় মারাত্মকক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল মানুষকে। আধার কার্ডের সঙ্গে সংযোগ না হওয়ার ফলে ২৭ লক্ষ জবকার্ড গ্রাহক বাদ চলে যায়। এখন কেন্দ্রীয় সরকার নয়া আইনে বায়োমেট্রিক যাচাই, জিও ট্যাগ উপস্থিতি, রিয়েল টাইম ড্যাসবোর্ডের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করাবে। ফলে গ্রামের গরিবের কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তার সঙ্গে মজুরি প্রাপ্তিও সঙ্কটে পড়বে। এখন গ্রামীণ শ্রমজীবী তাঁর কাজ, মজুরি নিয়ে কিছুই জানতে পারবে না, জানবে শুধু দিল্লির কর্তারা। ফলে রেগার বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য যা জরুরি ছিল তা করাই হলো না, উলটে সঙ্কটকে আরও তীব্র করা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের সঙ্কট ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা
এ রাজ্যে রেগার সঙ্কট আরও তীব্র। গত ২০২২ সালের মার্চ থেকে এ রাজ্যে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ১০০ দিনের কাজ। কাজ চালু করার দাবি নিয়ে মামলা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেই মামলার রায় রেগার শ্রমিকদের পক্ষে গেছে। কিন্তু এখন আর তার কোনও উপযোগিতা থাকল না। নয়া আইন সেই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো, যে রাজ্যে গোরু, কয়লা থেকে চিট ফান্ডের মতো একের পর এক আর্থিক দুর্নীতিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে অতি তৎপর রাজ্য সরকার মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অংশীদার হয়ে যায়। সেখানে রেগা নিয়ে তারা চুপ।
রেগার কাজ বন্ধ হওয়ার পর সরকার কর্মশ্রী নাম দিয়ে একটি প্রকল্প চালু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার মহাত্মা গান্ধীর নাম বাদ দেওয়ার পরদিনই কর্মশ্রীর নাম পরিবর্তন করে নয়া নামকরণ করা হয়েছে মহাত্মা-শ্রী।
এখন উন্নয়নের পাঁচালি পেশ করে মমতা ব্যানার্জি দাবি করছেন, মহাত্মা-শ্রী প্রকল্পে এরাজ্যে ১০৪ কোটি শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে! এখানেই থামেনি সরকার ৭৮ লক্ষ গ্রামীণ জনতাকে গড়ে ৭০ দিনের বেশি কাজ দেওয়া হয়েছে। সরকারের খরচ হয়েছে ২০ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।
বাজেট বরাদ্দ ছাড়াই কীভাবে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে যায়? তার থেকে বড় প্রশ্ন, এরাজ্যে কোনও এক গ্রামের পঞ্চায়েতে জবকার্ড নিয়ে কাজ চাইতে গেলে কিন্তু কর্মশ্রী বা মহাত্মা শ্রী প্রকল্পে আদৌ কী কাজ মেলে না। উত্তর, না। তাহলে কী ঘটছে? এটাও এরাজ্যের মানুষের সঙ্গে এক প্রতারণা। আদপে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে যে কাজ ঠিকাদারদের মারফত করা হচ্ছে সেই কাজের সঙ্গে জব কার্ডের নাম্বার লিখে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে মহাত্মা শ্রী প্রকল্পের সাফল্যকে। এমন দেখা যাবে পরিযায়ী হয়ে ভিনরাজ্য চলে গেছেন। সেই শ্রমিকের জবকার্ডের তথ্য সরকারের কাছে আছে। সেই শ্রমিককেও দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্মশ্রী প্রকল্পের উপভোক্তা হিসাবে। মহাত্মার নামজুড়ে এমনই প্রতারণা জাল ছড়িয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। 
রামের নামে কাজ নেই। মহাত্মার নামে চলছে প্রতারণা। রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষের কাছে এই দুই সরকারের বিরুদ্ধেই লড়াই তাই জরুরি।
Highlight
এ রাজ্যে রেগার সঙ্কট আরও তীব্র। গত ২০২২ সালের মার্চ থেকে এ রাজ্যে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ১০০ দিনের কাজ। কাজ চালু করার দাবি নিয়ে মামলা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেই মামলার রায় রেগার শ্রমিকদের পক্ষে গেছে। কিন্তু এখন আর তার কোনও উপযোগিতা থাকল না। নয়া আইন সেই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো, যে রাজ্যে গোরু, কয়লা থেকে চিট ফান্ডের মতো একের পর এক আর্থিক দুর্নীতিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বাঁচাতে অতি তৎপর রাজ্য সরকার মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অংশীদার হয়ে যায়। সেখানে রেগা নিয়ে তারা চুপ।

 

Comments :0

Login to leave a comment