শুভ্রজ্যোতি মজুমদার
পুকুরের একপাড়ে জমেছে জঞ্জাল জঞ্জাল পড়ে পড়ে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে পুকুরের পরিসর। প্রতিবাদে সরব চাতরার মানুষ।
চাতরার ডি এন মুখার্জি রোড সংলগ্ন এই পুকুর সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান আগে বৈদ্যবাটি পৌরসভার চাতরা এলাকার জঞ্জাল এখানে জড়ো করত। পরে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানানোর পর সেই জঞ্জাল ফেলা বন্ধ হয়। তবে কেউ বা কারা এখনো জঞ্জাল ফেলে যাচ্ছে। জঞ্জাল পড়ে পড়ে পুকুরটি আস্তে আস্তে বুঁজে যাচ্ছে। কোনও জমি হাঙরের নজর থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বাসিন্দারা।
শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে রাস্তার ধারে আড়াই তিন কাঠার পুকুর জমি হাঙরদের নজর থাকবে এটাই স্বাভাবিক। জঞ্জাল পড়ার জন্য ভয়ানক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তারপর কুকুর-বেড়ালের মৃতদেহ ফেলে যাওয়ায় দুর্গন্ধ সহ্য করা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান পুকুরটি বাঁচিয়ে পরিবেশ রক্ষা হোক আমরা চাই।
বিশিষ্ট পরিবেশকর্মী ও আইনজীবী বিশ্বজিৎ মুখার্জি বলেন, ‘‘শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন চাতরায় যা ঘটছে এটাই গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পুকুর বোজানোর মডেল। প্রথমে ময়লা ফেলে, তারপর জঞ্জাল পোড়ায়, মৃত জন্তু জানোয়ারের পচা দেহ ফেলে দেওয়া হয়। প্রবল দুর্গন্ধ তৈরি করা হয়। তারপর স্থানীয় মানুষই আর চান না পুকুরটি থাকুক।’’
এই আইনজীবী বলছেন, ‘‘জলাভূমি সংক্রান্ত আইন, পরিবেশ সুরক্ষা আইন, ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আইন ভাঙা হচ্ছে সুচতুর ভাবে। তিনটে আইন ভেঙে বেআইনি কাজটি প্রশাসনের নজরের সামনে চলছে। প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া তো এই কাজ হতে পারে না। তাদের পেছনে অবশ্যই রাজনৈতিক মদত রয়েছে।’’
Comments :0