ফের সংবাদ শিরোনামে গাইসাল। মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ শিলিগুড়ি-মালদাগামী ডেমু ট্রেনে আগুন ধরে। ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। ওই ট্রেনের পিছনের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে আগুনের শিখা বেরোনোর পাশাপাশি তীব্র ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায়। আপৎকালীন তৎপরতায় চালককে ফোন করেন ট্রেনের ম্যানেজার। থামিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনটি। গাইসালে নর্থ কেবিনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। ইসলামপুর থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কিশনগঞ্জ থেকে রেলের সুরক্ষা আধিকারিকরা গাইসাল স্টেশনে পৌঁছায়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানান, "ওই ট্রেনের পিছনের ইঞ্জিনে ধোঁয়াসহ আগুন দেখা যায়। ঘটনায় যাত্রী থেকে শুরু করে ট্রেনের কর্মীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দ্রুততার সাথে মেরামতের কাজ চলছে।"
এদিকে রেলের সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল এগারোটা বেজে ৫ মিনিটে শিলিগুড়ি জংশন থেকে মালদা টাউনগামী ওই ডেমু ট্রেনটি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। গুনজুরিয়া স্টেশন থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে গাইসাল রেলস্টেশনে ঢোকার মুখেই নর্থ কেবিনে ট্রেনের পিছনের ইঞ্জিনে আগুন দেখতে পান ট্রেনের ম্যানেজার। তিনি বিষয়টি ট্রেনের চালককে জানান এবং ট্রেনের চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। গাইসাল স্টেশনের ম্যানেজার খবর দেন কিশনগঞ্জ স্টেশনে। ওই ট্রেনের ম্যানেজার রাজেশ ভারতী আগরওয়াল বলেন, "আমরা প্রাথমিকভাবে ট্রেনের মধ্যে থাকা অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার জন্য রাখা সিলিন্ডার দিয়ে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আগুন কোনমতেই নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন লাগার কারণ আমাদের পক্ষে বলা মুশকিল। বিষয়টি টেকনিক্যাল বিভাগ দেখছে। সমস্ত বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।"
এদিকে রেল সুরক্ষা বিভাগের কিশনগঞ্জের এসআই জিএস শর্মা বলেন, "এ দিনের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা গাইসাল স্টেশনে পৌছাই। এলাকায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। অন্য বিষয়গুলো আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব না।"
এদিকে ওই ট্রেনে আগুন লাগার কারণে দিল্লীগামী রাজধানী এক্সপ্রেস ৩ টে ১৫ পর্যন্ত গুঞ্জরিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরিন্দর কুমার জানান, "ওই ট্রেনটি ক্লিয়ারেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ছাড়া হবে না তবে ৩ টে ১৫ মিনিটের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১ আগষ্ট রাতে ঘটে গাইসালের রেল দুর্ঘটনা। ভুল সিগন্যালের কারণে এক লাইনে চলে এসেছিল অবধ অসম এক্সপ্রেস আর ব্রহ্মপুত্র মেল।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এদিনের ট্রেন দুর্ঘটনার পর পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে অনেকের মনে। এদিন কারো প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেনি।
Raiganj Train Fire
গাইশালে ট্রেন থেকে গলগল করে ধোঁয়া
×
Comments :0