CHOPRA KIDNAPPING

চোপড়ায় পার্টিনেতাদের অপহরণ, তীব্র বিক্ষোভের পর মিলল ছাড়া

জেলা

CHOPRA KIDNAPPING সোমবার ইসলামপুর হাসপাতালে আহতদের কাছে সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। ছবি: বিশ্বনাথ সিনহা

থানায় যাওয়ার পথে পার্টি নেতৃবৃন্দকে অপহরণ করা হলো চোপড়ায়। মারধরও করা হলো চোপড়ার এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ তরফদার সহ অন্যদের ওপর আক্রমণও করা হয়েছে। তৃণমূলের অপহরণে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ নেমে পড়ে রাস্তায়। প্রতিবাদের চাপে অপহৃত পার্টিনেতা এবং অন্যদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। 

মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন। সেই বিষয়েই থানায় আলোচনার সূচি আগে থেকেই ঠিক ছিল। দাসপাড়া থেকে গাড়িতে করে রওনা দেন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। বিদ্যুৎ তরফদারের সঙ্গে ছিলেন বাবুল হক ,আনসারুল হক ও লতিফুর রহমান এবং কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অশোক রায়। রাস্তায় হাতিঘিসা মোড়ে গাড়ি থামিয়ে তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই জায়গাটি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের বাড়ির একেবারে সামনে। 

জানা গিয়েছে, হামিদুরের বাড়ির সামনে গাড়ির পথ আটকায় একদল দুষ্কৃতী। একটি সাদা রঙের ইনোভা গাড়ি, তার নম্বর প্লেটে উত্তর প্রদেশের নম্বর, একটি লাল সুইফ্ট এবং একটি মারুতি গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল অপহরণকারীরা। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে অপহরণ করা হয় সেখানেই। 

মারাত্মক এই ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের এসপি’কে ফোন করেন সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক আনোয়ারুল হক। সরাসরি তিনি বলেন, এক ঘন্টার মধ্যে আমাদের নেতাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে গোটা জেলা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। ততক্ষণে প্রতিবাদ নামতে শুরু করেছে চোপড়ার রাস্তায়। কিছুক্ষণ পরে জানা যায় বিদ্যুৎ তরফদার সহ নেতৃবৃন্দকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে তাঁরা আহত। দ্রুত ভর্তি করা হয় ইসলামপুর হাসপাতালে। 

জেলা সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভে বলেছেন, বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে চোপড়াকে। জেলার পুলিশ এবং প্রশাসনের সরাসরি মদতে দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুলিশ এবং প্রশাসনই একমাত্র ভরসা তৃণমূলের। মানুষের সমর্থনে জয়ী হওয়ার কোনও জায়গা নেই। সেটি জানে বলেই মনোনয়ন তুলতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি অপহরণেও পিছপা হচ্ছে না। 

Comments :0

Login to leave a comment