শুক্রবার ভারতীয় ফুটবলের জন্য একটি বড় দিন। বহু দিন ধরে আইএসএল নিয়ে চলতে থাকা জট খুলতে পারে শুক্রবারই। ২০১০ সালে আইএসএলের বিনিয়োগকারী সংস্থা এফএসডিএল ( ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেড ) এবং এআইএফএফ( অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন ) -র মধ্যে একটি এমআরএ বা MRA ( মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্ট ) চুক্তি হয়েছিল । যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বর মাসেই। তাই মেয়াদ পূর্তির আগেই এফএসডিএল এআইএফএফ-র কাছে আগামী ১০ বছরের জন্য একটি নতুন চুক্তির মডেল প্রস্তাব করেছিল । সেই মডেলে দেওয়া ছিল যে , প্রত্যেক মরশুমের বার্ষিক আয়ের থেকে আইএসএলের প্রত্যেকটি ক্লাব যুগ্মভাবে পাবে ৬৪শতাংশ লভ্যাংশ। ২৪ শতাংশ পাবে এফএসডিএল এবং ১৪শতাংশ পাবে এআইএফএফ। তবে এই মডেল মানতে রাজি ছিলনা ফেডারেশন। বিষয়টি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে। শুক্রবার তারই রায় ঘোষণার উপর নির্ভর করবে ভারতীয় ফুটবলের আগামীর গতিপথ।
রায় ঘোষণায় যে বিশেষ ব্যাপারগুলি উঠে আসতে পারে তা হল - প্রথমত, আপদকালীন পরিস্থিতিতে একটি স্বল্পমেয়াদী সমাধান করতে চাইবে সুপ্রিম কোর্ট। অন্যান্য মরশুমে সেপ্টম্বর থেকে শুরু হয়ে যায় আইএসএল। তবে এই মরশুমের অনিশ্চয়তায় তা ইতিমধ্যেই পিছিয়ে যেতে চলেছে প্রায় নভেম্বর অব্দি। ফলে দ্রুত সমাধানের জন্য সুপ্রিম কোর্ট দুই পক্ষকেই আরো ছয়মাসের জন্য সাময়িক একটি চুক্তি করার কথা বলতে পারে। যাতে অন্তত এই মরশুমের জন্য সম্ভবপর হয় আইএসএল করা। তবে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট দুই পক্ষের কাউকেই জোর করতে পারবেনা । সেক্ষেত্রে রয়েছে আরো এক সমস্যা। আইএসএলের সমস্ত স্পন্সরররা এই চুক্তিতে মাত্র ৬ মাসের জন্য রাজি নাও হতে পারেন। তারা চাইবেন দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি। দ্বিতীয়ত , যদি আইএসএল না করা সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে দুই পক্ষ আইএসএলের সমস্ত ক্লাবগুলিকে আইলিগের হেলার জন্য অনুরোধ করতে পারে । তবে আইএসএলের ফলে সব ক্লাবগুলিরই এত বেশি আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় আইলিগে খেলতে তারা রাজি হবেন কিনা সেই নিয়েও রয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। তবে বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট বেশ ভালোমতোই অবগত । তাই আশা কর অজয় যে, ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই একটি নিরপেক্ষ রায় জানাবে ভারতের সর্বোচ্চ বিচারিক কর্তৃপক্ষ।
Comments :0