সিপিআই(এম) সহ দশটি বামপন্থী দলের ডাকে নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ সভা হয়। বিমান বসুর নেতৃত্বে বামপন্থী দলসমূহের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশনের জন্য যায়। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তারা। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, আরএসপি রাজ্য সম্পাদক তপন হোড়, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি, সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার, এসইউসিআই(কমিউনিস্ট) দলের রাজ্য সম্পাদক চন্ডীদাস ভট্টাচার্য সহ নেতৃবৃন্দ।
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, "ব্যাপারটা এমন দাঁড়াচ্ছে যেন বিজেপির কাজ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কথা বলা। আর তৃণমূলের কাজ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কথা বলা। নির্বাচন কমিশন নিজে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করছেনা বলে এই সংশয়ে ছড়াচ্ছে। কমিশনের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে কোনও বক্তব্ব্ব পেশ করা হলে আর কেউ বিভ্রন্তি ছড়াতে পারবে না।"
তিনি দৃঢ় ভাবে জানান যে কোনও বৈধ ভোটারের নাম না বাদ পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। কমিশনে দেখা উচিত কোনও ভোটারের একাধিক জায়গায় যেন নাম না থাকে। মৃত ভোটার থেকে যায় বহু দিন। তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার দায়িত্ব কমিশনের। এছাড়াও ১৮ বছর বয়সী ভোটারদের তালিকায় অন্তর ভুক্তি করতে হবে।বিমান বসু বলেন, "এসআইআর বর্তমানে মানুষের কাছে ত্রাসে পরিনত হয়েছে। মানুষকে সচেতন করে পরিছন্ন ভাবে কাজ করতে হবে। কোনও দলীয় স্বার্থের পক্ষে কাজ করা যাবে না। বিএলওদের দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করতে হবে।"
Comments :0