৯ জুলাই ধর্মঘটের সমর্থনের সভা করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু সেই সভা পরিণত হয়েছে কালীগঞ্জে তমন্না খাতুনকে হত্যার বিরুদ্ধে ধ্বনিত ধিক্কারে। উপনির্বাচনে ফল বেরনোর আগে বিজয় উল্লাসের নামে ওই কিশোরীকে হত্যা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার তমন্নার দেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। ক্ষোভে, ধিক্কারে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরা। পরিবার সিবিআই তদন্ত চেয়েছে। তাঁরা সিপিআই(এম) সমর্থক বলেই হামলা করেছে তৃণমূলের বাহিনী, বলেছেন তমন্নার মা।
সারা রাজ্যেই মঙ্গলবার তমন্না খাতুনকে হত্যার প্রতিবাদ চলছে। এদিন বিকেলেই শিলিগুড়িতে হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল। শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে সিপিআইএম ২ নং এরিয়া কমিটির ধিক্কার মিছিল। মিছিল শুরু হয় এয়ারভিউ মোড়(মহাত্মা গান্ধী মোড়) থেকে। এরপর হিলকার্ট রোড হয়ে সেভক মোড়ে মিছিল এসে রাস্তা অবরোধ করে। এরপর মিছিল অনিল বিশ্বাস ভবনের সামনে শেষ হয়।
মালদহে সভা ছিল রাজ্য কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারি-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের যৌথ মঞ্চের আহ্বানে। মালদহ শহরে পুরাতন হাসপাতালের পাশে অবস্থান বিক্ষোভ হয়। সভার শুরুতে মূল প্রস্তাব পেশ করেন আদিত্যনারায়ণ মুখার্জী। ৯ই জুলাই দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পেশ করেন মৃন্ময় দাস। এই দুই দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখেন হিমাংশু দে, পল্টু মিশ্র, অশোক দাস, শংকর সরকার ও শশাঙ্কশেখর নাগ। তাঁরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের শ্রমিক কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী স্বার্থবিরোধী ও সাধারণ মানুষের স্বার্থবিরোধী নীতির উল্লেখ করে দুই সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করেন এবং আগামী ৯ই জুলাই দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান। অবস্থানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন পার্থগোপাল মুখার্জী ও শিখা ঘোষ।
কিন্তু সভা সরব থেকেছে কালীগঞ্জে সিপিআই(এম) কর্মীদের উপর বোমা নিয়ে হামলা চালিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তমান্না খাতুনকে হত্যার ঘটনয়। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোরতম শাস্তি দাবি ওঠে।
Tamanna Khatun Murder
শিলিগুড়ি, মালদহে ধিক্কার, তমন্নাকে হত্যার প্রতিবাদ আজ রাজ্যজুড়ে

×
Comments :0